যশোরের বেনাপোলে স্বামী শ্বশুর শাশুড়ী ও ননদ মিলে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর, শাশুড়ী ও ননদকে আটক করা হয়েছে বলে জানিযেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল বেনাপোলের দিঘীরপাড় গ্রামের মাঠপাড়ার গৃহবধূ কহির শ্বশুরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি রাসেল মিয়া বলেন, গৃহবধু কহির বাবা মা`র মৃত্যুর পর সে নানা বাড়িতেই বড় হয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে সব সময় তাকে লাঞ্ছনা গঞ্জনা দেওয়া হত।
ঘটনার দিন শুক্রবার গভীর রাতে সবাই মিলে মুখের ভেতর ওড়না ঢুকিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্নহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পাশের রুম থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ওড়না ও বালিশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গৃহবধূর কহিনুর বেগম কহি (১৯)
বেনাপোলের দিঘীরপাড় গ্রামের মাঠপাড়ার হৃদয় হোসেনের স্ত্রী। কহি শার্শা উপজেলার লটাদিঘা গ্রামের মৃত দুলু মিয়ার মেয়ে। তাদের দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নিহতের স্বামী হৃদয় হোসেন(২৫), শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম,শাশুড়ী শাহানা বেগম ও ননদ সাগরিকাকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :