ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ১০:১৯ এএম

বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের বেনাপোল সীমান্তে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ ৩৮হাজার ৪০০ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেনাপোলের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়। যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুল্লাহ সিদ্দীকী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল বেনাপোল কাস্টমস গেটের সন্মুখে রাস্তার উপর হতে মালিকবিহীন অবস্থায় ৫০ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য জব্দ হয়। একই দিনে বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সদস্যরা চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেজ্ঞার টার্মিনালের সামনে বিজিবির নিয়মিত তল্লাশীকালে ভারত হতে পাসপোর্টযাত্রীদের সাথে আনা শুল্ক ফাঁকির বিভিন্ন ধরনের ৩ লাখ ২ হাজার ২শত টাকার পণ্য জব্দ করেন। অপর এক অভিযানে বেনাপোল বিওপির সদস্যরা বেনাপোলের নামাজ গ্রামের পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা মূল্যের পোশাক, কসমেটিক্স, পুথি ও হোমিও ঔষধ জব্দ করেন।

বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা
হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারণে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক জব্দকৃত ভারতীয় মালামাল বেনাপোল কাস্টমস জমা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য বেনাপোল সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা, পরিবহন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় একটি মহল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ভারত হতে পাসপোর্টযাত্রীদের সাথে ল্যাগেজ সুবিধায় আনা শুল্ক ফাঁকির নানা ধরেনের ভারতীয় পণ্য, ডিউটি ফ্রি শপ থেকে উত্তোলিত মদ, সিগারেটের চালান পারাপার করে থাকে এবং তা মোটা অঙ্কের অর্থ চুক্তিতে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বেনাপোল হতে ট্রেন, লোকাল বাস ও কুরিয়ার সার্ভিস যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই বেনাপোলের প্রশাসনের খাতায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অভিযান না থাকায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

আরবি/জেআই

Link copied!