শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০২:৫৫ এএম

মৎস্য সম্পদের বিরাট খনি কিশোরগঞ্জের হাওর

রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০২:৫৫ এএম

মৎস্য সম্পদের বিরাট খনি কিশোরগঞ্জের হাওর

ছবি: সংগৃহীত

হাওর-বাঁওড় ও সমতলভূমির বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি নিয়ে গঠিত বিস্তীর্ণ জনপদ কিশোরগঞ্জ। ইতিহাস আর সমৃদ্ধ ভরা এই অঞ্চলটি দেশের খাদ্য যোগানেও অন্যন্য ভূমিকা পালন করে। ধান উৎপাদনের পাশাপাশি আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস মাছ উৎপাদনের উপরের সারিতে রয়েছে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল। কিশোরগঞ্জের হাওরকে দেশের অন্যতম মৎস্য ভান্ডার বলা হয়।

মৎস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত এ জেলার ৬৪ হাজার ৩০৬ হেক্টর আয়তনের ১২২ ছোট-বড় হাওর থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২২ হাজার মেট্রিক টন মাছ পাওয়া যায়।

এছাড়া প্রচুর শামুক ও ঝিনুকসহ বিভিন্ন জলজপ্রাণি উৎপন্ন হয় এ হাওরাঞ্চলে। তবে পরিবেশ দূষণ, সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া, কারেন্ট ও চায়না দোয়ারি জালের ব্যবহারের কারণে প্রতি বছরেই কমছে মাছ উৎপাদন।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয়েছে। এ অর্থবছরে মাছ উৎপাদন হয়েছে ১৮২০০.৯৬ টন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০৬০.৯২ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড ৮০২০.৫২ টন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ছিল ১২৬০.৯২ কোটি টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা জানান, হাওরে মাছের উৎপাদন বাড়াতে মৎস্য অভয়াশ্রমের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তাতে দেশের মানুষের মাছের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে হাওরের মাছ। তবে তার আগে হাওর খেকো অসাধুচক্রের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রকৃত জেলেদের মধ্যে জলমহাল ইজারা দিতে হবে। মৎস্য সমবায় সমিতিগুলোতে প্রতীকী নাম ব্যবহার করে এক শ্রেণির অসাধু লোক জলমহাল ইজারা নিয়ে আড়ালে জলমহালের সুবিধা ভোগ করে। অর্থ প্রদান করে জলমহালের মালিক বনে যায়। এতে প্রকৃত জেলেরা লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হন। বৈশাখ মাস থেকে আষাঢ় মাস এই তিন মাস প্রতি বছর মাছ ধরা বন্ধ রাখতে পারলে অনেকাংশে মাছের বংশবিস্তার বৃদ্ধি পাবে। মৎস্য আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই, এটি জোরদার করতে হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারণে হাওরে মাছের উৎপাদন কম হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ, সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া, কারেন্ট জালের ব্যবহার ও সম্প্রতি চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহারের কারণে হাওরের মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কারেন্ট জাল ও চায়না জালের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। যারা বিল ইজারা নেন, তারা যেন বিল সেচে মাছ না ধরেন সেই প্রচারণা চালাচ্ছি।

প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মৎস্য আইন বাস্তবায়নে কাজ করছি। জলমহাল প্রকৃত জেলেরা অর্থাৎ নিবন্ধিত জেলেরা পাচ্ছেন কি না, তা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

আরবি/জেডআর

Link copied!