ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

বীর মুুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে পিতা বানিয়ে কোটায় পূত্রবধূর চাকরি

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম

বীর মুুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে পিতা বানিয়ে কোটায় পূত্রবধূর চাকরি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জামালপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে পিতা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি নিয়েছেন মাফিয়া খাতুন মিতু। জামালপুরের ভাটারা ইউনিয়নের ৬১ নং মইশাবাদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার চাকরি করার বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি চাকরি পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানান শিক্ষা বিভাগ।

সহকারি শিক্ষিকা মাফিয়া খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে প্রতিবেদকের কাছে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানা যায়, সহকারি শিক্ষিকা মাফিয়া খাতুন মিতু ভাটারা ইউনিয়নের ধোপাদহ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে খায়রুল ইসলাম খোকনের স্ত্রী। মাফিয়া ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি মইশাবাদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে যোগদান করেন। খায়রুল ইসলাম খোকন ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের আরও ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

খায়রুল ইসলাম খোকন ২০১০ সালে পার্শবর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার রায়ের ছড়া গ্রামের মো. হাসান আলীর মেয়ে মাফিয়া খাতুনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন। ওই সময় মাফিয়া খাতুন রায়ের ছড়া সর্দাবাড়ি মডেল একাডেমিতে ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরির প্রত্যাশায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরিক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময় মাফিয়া খাতুন তার পিতার নামের পরিবর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা শশুরের নাম এবং মাতার নামের পরিবর্তে শাশুরির নাম ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে তার যাবতীয় কাগজপত্র সার্টিফিকেট অনুযায়ী সংশোধন করেন এবং সার্টিফিকেট অনুযায়ী মাফিয়া খাতুন হাসান আলীর পরিবর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের জন্মদাতা মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হন।

মাফিয়া খাতুন মিতুর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান রুপালী বাংলাদেশকে জানান, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মহিশাবাদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাফিয়া খাতুন শশুরকে পিতা বানিয়েছেন। তার শশুর ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ।

অভিযোগ রয়েছে, মাফিয়া আক্তার নিজের পিতার পরিচয় গোপন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা শশুরকে পিতা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি পেয়েছেন। এ অভিযোগ পাওয়ার পর সরিষাবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতমধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে কিন্তু তদন্ত রিপোর্টটি অসম্পূর্ণ থাকায় অভিযুক্ত ওই সহকারি শিক্ষিকার কাছে আরও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এরপর পরিপূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!