গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় রাতের আধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বিএনপি’র ব্যানার। এই দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ কর্মী। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার আমতলী পরিষদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার আমতলী গ্রামের নুরু ইসলামের ছেলে মুনিম ইসলাম (১৬), লিঠু খানের ছেলে সিয়াম খান (১৬), মনির মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (১৪) আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টানানো বিএনপির একটি ব্যানার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এ ঘটনা তারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে মুহুর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এই তিনকর্মী স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে।
ঘটনাটি জানার পর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করে।
আমতলী ইউনিয়নের বিএনপি নেতা তুহিন খান বলেন, সম্প্রতি আমি আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানীর ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার টানিয়েছিলাম। স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী রাতের আধাঁরে ব্যানারটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। এঘটনা তারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুনিম ইসলামের পিতা নুর ইসলাম বলেন, আমার ছেলে যে কাজটি করেছে তাহা খুবই নিন্দনীয়। তার এই কাজের জন্য আমি উপজেলা বিএনপির সকল নেতা কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমরা জানার সাথে সাথে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের নির্দেশ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় বিএনপি থেকে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে তাদের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে আমাদেরকে জানানো হয়েছে। আমরা আমাদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :