কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, শেখ হাসিনা মানুষ গুম ও খুন করেছে এবং সেই সাথে টাকা চুরি করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস করেছে। সে কারনে দলীয় নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতার্মীরা মামলার ঝুলি নিয়ে পালিয়ে রয়েছে আর হাসিনা এখন ভারতে আতিথেয়তা নিচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকার এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েও দেশ ছেড়ে পালায় নাই। আ’লীগ নেতাকর্মীদের কাছে জানতে চাই, আপনারা কেমন নেতার দল করেছেন? অপর দিকে বিএনপি গণমানুষের দলে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকালে রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
গত ১৭ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হওয়া অত্যাচার ও জুলুমের জবাব এখন আমরা চাইলেই দিতে পারতাম কিন্তু আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো একই কাজ যদি বিএনপি করে তাহলে ওদের সাথে পার্থক্য কোথায়?
আমি স্পষ্টভাবে বলছি বিএনপি গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি গণমানুষের রাজনৈতিক দল। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আমির এজাজ খান,সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, শেখ আ. রশিদ, এনামূল হক সজল।
এসময় বক্তৃতা করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা সাইফুর রহমান, সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিক, কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. মোমরেজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা পার্থদেব মন্ডল।
শ্রীফলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন ইজারাদারের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু, এসএম শামীম কবির, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি উজ্জল সাহা, জেলা তাঁতিদল সদস্য সচিব মাহমুদুর আলম লোটাস, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রয়েল আজম, বিএনপি নেতা কবির মোল্যা, বাশির আহম্মেদ মোল্যা, উপজেলা যুবদল আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রুবেল মীর, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আ. মালেক শেখ, খান আনোয়ার হোসেন, কবির শেখ, আজিজুর রহমান, দিদারুল ইসলাম প্রমূখ।
আপনার মতামত লিখুন :