সংগঠনকে না জানিয়ে সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এবং চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্তসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিএনপি নেতা ফিরোজ খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে এক চিঠির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার সভাপতি মোহাম্মদ আজম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়া।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মো. ফিরোজ খান। তিনি চট্টগ্রাম নগরের মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি উত্তর মোহরার স্বরূপ খান চৌধুরী সড়কের স্বরূপ খান চৌধুরী বাড়ির মো. আব্দুল হালিমের ছেলে।
এদিকে, মামলার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে ফিরোজ খানকে মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিনি যে মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তা চট্টগ্রাম নগর বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলের একাধিক নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানও। তিনি বলেন, ফিরোজ খান মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ব্যক্তিগতভাবেই মামলাটি করেছেন। এই মামলা করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলাপই তিনি করেননি।
এদিকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।’
মামলার আসামিরা হলেন— ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরের প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাস (২৫)। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫ থেকে ২০ জনকে।
আপনার মতামত লিখুন :