খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি-কানায়দিয়া খেয়াঘাট দখল নিতে আসে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এসময় তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে অন্তত চারজনকে জখম করে তারা। এক পর্যায়ে তাদেরকে আহত করে বাড়িতে লুটপাট করে চাইনিজ কুড়াল সন্ত্রাসী বাহীনিরা।
জানা গেছে, দখল দিতে আসা অস্ত্রধারীরা সন্ত্রাসীরা জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মফিদুল হক লিটুর সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় খেয়াঘাটের দুই পারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে এলাকা জনশুন্য হয়ে যায়। আহতরা হলেন, স্বামী স্ত্রী শিল্পী বেগম ও শেখ ফারুক, আসমা বেগম ও নাজমা বেগম।
খেয়াঘাট ইজারাদার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় অর্ধশত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘাট দখল নিতে আসে। বাধা দিতে গেলে অস্ত্র বের করে গুলি করতে উদ্যত হয়। ভয়ে পাশ্ববর্তী লোকজন চলে যায়। জীবন ভয়ে (ইজারাদাররা) আমরা ঘাট ছেড়ে দুরে অবস্থান করি। সেই সুযোগে আমাদের বাড়িতে থাকা মহিলাদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে লুটপাট চালায়। ঠেকাতে গেলে ইজারাদার শেখ ফারুকে মাথায় আঘাত করে ফাটিয়ে দেয়।
জানা গেছে, এসময় দুইটি বাড়িতে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে বলে। এসময় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কপিলমুনি প্রাইভেট ক্লিনিকে পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, আমি বাইরে আছি, কিছু জানিনা।
আপনার মতামত লিখুন :