ঢাকা শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৪

আদমদীঘি বিএনপির অফিস ভাঙচুর: যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

আদমদীঘি বিএনপির অফিস ভাঙচুর: যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির অফিস ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও হুমকি দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় মাসুদুর রহমান মাসুদ নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তিনি আদমদীঘি উপজেলা সদরের তালসন গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ২৫০ জন নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল বোমা, শাবল ও লাঠিসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।

এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা নিরাপদ দূরত্বে চলে গেলে হামলাকারিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে দরজা-জানালা আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিলা ও তারেক রহমানের ছবি বের করে তাতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলে।

এ ঘটনায় গত রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে আদমদীঘি উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি কুসুম্বী গ্রামের মিজানুর রহমান বাদি হয়ে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সাবেক এমপি, তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, তার মা জেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজু আরা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় মাসুদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!