ঢাকা রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সুনামগঞ্জে বিএনপির দ্বিতীয়দিনের অবস্থান কর্মসূচী

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০৬:০১ পিএম

সুনামগঞ্জে বিএনপির দ্বিতীয়দিনের অবস্থান কর্মসূচী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণহত্যার দায়ে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে এবং গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয়কে দ্বিতীয় বিজয় উল্লেখ করে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচী ও আনন্দ উল্লাস হিসেবে বিজয় মিছিল করেছে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন নেতাকর্মীরা। এদিকে দুপুরে জেলা বিএনপি, যবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। সসুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের সঞ্চালনায় কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এড.মল্লিক মঈনুদ্দিন সুহেল, সেলিম আহমদ, এড. মাসুক আলম, নাদীর আহমদ, এড. শেরেনুর আলী, আকবর আলী, আবুল কালাম আজাদ, আ ত ম মিছবাহ, যুগ্ম সম্পাদক এড. জিয়াউর রহিম শাহিন, জেলা বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর বিএনপির যুগ্ম বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম দিলু, জুনেদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক মইিন খান ময়না, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুল আহাদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক কালা চাঁন, তফাজ্জল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি সুহেল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, সহ সাধারন সম্পাদক লুৎফুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এ এস রিপন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবু কাশেম দুলু, সদস্য সচিব এড. দিপংঙ্কর বণিক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহ মোশারফ হোসেন, সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব তারেক মিয়া ও আজিজুর রহমান সৌরভ প্রমুখ।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল বলেছেন, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পাশ্ববর্তী ভারতে পালিয়ে গেছেন। এই আগষ্ট মাস হচ্ছে ছাত্রজনতার দ্বিতীয় দফার স্বাধীন আরেকটি বাংলাদেশ। এই নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যর কোন স্থান নেই। বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস ভোটার বিহীন অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিল। এই সময়টাতে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল বিরোধী মত ও পথের মানুষের বাক স্বাধীনতা হরন করে তাদের নামে একাধিক হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার চালানো হয়েছিল। বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলেবন্দি করে রাখা হয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পর্যন্ত যেতে দেয়া হয়নি। অপরদিকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ফ্যাসিস এই জালেম শেখ হাসিনার সরকারের ১৫ বছরের নির্যাতনে দেশের ছাত্রজনতাসহ বিরোধীদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের সাথে রাস্তায় নেমে গণআন্দোলনে সামিল হয়ে ঢাকার রাজপথ দখলে নিয়ে গত ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিস শেখ হাসিনাকে সরকার থেকে ত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।

তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের আমলে দেশে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচারসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপর যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন গুম, খুন হামলা, মামলার রাজস্ব কয়েম করেছিল তখন দেশের আপামর জনসাধারন এই জালিম সরকারের উপর অতিষ্ট হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র জনতার এক দফার আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী এমপি দোসররা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা গুলি করে পাখির মতো ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে বিদেশে পালিয়ে থাকা এই ফ্যাসিস সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সকল হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মাধ্যমে তাদের ফাসিঁর রায় কার্যকর করতে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।

আরবি/জেডআর

Link copied!