চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আমেনা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের পিতা থানায় হত্যা মামলা দিলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। নিহত আমেনা খাতুন উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দুধ পুকুরিয়া পূর্ব পাহাড় গফুর বাদশার বাড়ি এলাকার আবদুল গফুর ড্রাইভারের স্ত্রী৷ এই ঘটনায় স্বামী পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে শ্বশুর বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা মো. হাছি মিয়া বাদী হয়ে একইদিন রাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দেয়। এতে নিহতের স্বামী আবদুল গফুর ড্রাইভারকে প্রধান করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামীর দ্বিতীয় বউয়ের বড় বোন একই এলাকার মো. মোনাফের স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৩০) গ্রেপ্তার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৫ সালে ভিকটিমের সাথে একই এলাকার আবদুল গফুরের বিয়ে হয়। তাদের ৪ মাস বয়সী এক মেয়ে, ৪ ও ৭ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ৫ মাস আগে স্বামী আবদুল গফুর পরকীয়া প্রেমের বাধা দেওয়ায় কাল হয়ে দাড়ায় ভিকটিম। এমনকি সে দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। ভিকটিম আমেনাকে এর ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করে ভিকটিমের পরিবার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা বলেন, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। কোন আলামত পাওয়ার যায়নি। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে থানায় হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।"
আপনার মতামত লিখুন :