শনিবার বিকেলে উল্লাপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে তার ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠানে কনে পক্ষের সঙ্গে সৃষ্ট সংঘর্ষে ছেলের মাসহ ১২ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা গুরুতর। ছেলের মা ফিরোজা খাতুনকে (৪০) সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপর গুরুতর আহত শহিদুল ইসলাম (৪০), ইমরান হোসেন (১৮) ও সবুজ হোসেনকে (৩০) উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ছেলে পক্ষের আমন্ত্রনের তুলনায় কনে পক্ষ থেকে দ্বিগুণ লোক যাওয়ায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানান কনের মামা মানিক উদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানান গেছে, গতকাল শুক্রবার নাগরৌহা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মাগুড়াডাঙ্গা গ্রামের নিদান প্রামানিকের মেয়ে আখি খাতুনের বিয়ে হয়। আজ শনিবার নুরুল ইসলামের বাড়িতে তার ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানে নুরুল ইসলাম কনে পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জনকে দাওয়াত করে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৪ টায় কনে পক্ষে থেকে ৭০ জন নারী-পুরুষ বৌভাত অনুষ্ঠানে আসেন। দ্বিগুণ সংখ্যক লোক আসার প্রেক্ষিতে ছেলে পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে কনে পক্ষের লোকজনকে গালিগালাচ করে। প্রথমে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের ১২ জন আহত হয়।
কনের মামা মানিক উদ্দিন উল্লাপাড়া মডেল থানা এবং গণমাধ্যম কর্মীদেরকে অভিযোগ করেন, তারপক্ষ থেকে কয়েকজন লোক বেশি আসায় নুরুল ইসলামের লোকজন তাদের উপর আক্রমণ করে এবং ব্যাপক মারধর করে।
তবে নুরুল ইসলাম কনের পক্ষের লোকজনের উপর প্রথমে তার পক্ষ থেকে আক্রমনের কথা অস্বীকার করেন। বরং কনে পক্ষই তার লোকজনের উপর হামলা করে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশ বাহিনী নিয়ে দ্রুত নাগরৌহা গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য এই মূহুর্তে উভয় পক্ষকে নিয়ে ছেলের বাড়িতে আলোচনায় বসেছেন তিনি। উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আহতদেরকে হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই উপ-পরিদর্শক।
আপনার মতামত লিখুন :