ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সীমান্তে গভীর রাতে জয়ন্তের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম

সীমান্তে গভীর রাতে জয়ন্তের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার (১৫) এর মরদেহ গভীর রাতে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টায় উপজেলায় ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলারের নিকট জয়ন্তের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এর আগে দুপুর থেকেই মরদেহ ফেরত দেবে দেবে বলে কয়েকদফা নানা নাটকীয়তায় সময়ক্ষেপন করে বিএসএফ।

মরদেহ ফেরতের সময় বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত দিবাকর অধিকারী, এসআই শামীম, ধনতলা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে জয়ন্তের চারজন প্রতিবশেী ছিলেন। মরদেহ ফেরতের পরপরই রাত আড়াইটার সময় জয়ন্তের শেষকৃত্য সম্পাদন করেছে প্রতিবেশীরা। তার মাকে খবর দিলেও তিনি দেখতে আসেননি।

এর আগে গত সোমবার ভোররাত ৪টায় সময় ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে জয়ন্ত কুমার ও তার বাবা মহাদেব চন্দ্র (৪৩) এবং প্রতিবেশী দরবার হোসেন (৫০) সহ আরও ১৫-২০ জন লোক অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টাকালে ভারতের ডিঙ্গাপাড়া বিএসএফর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় বিএসএফ এর ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় জয়ন্ত কুমার। কিশোরের বাবা মহাদেব ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন গুলিবৃদ্ধ হয়ে পালিয়ে আসে।

নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের মহাদেবের ছেলে। সে লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রণির ছাত্র। অপর আহত দুজন হলেন কিশোরের বাবা মহাদেব চন্দ্র ও দরবার হোসেন নিটালডোবা গ্রামের বাঠু মোহম্মদের ছেলে।

ঘটনার পর সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ‍‍`র মধ্যকার কোম্পানী কমান্ডার ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কমান্ডারদের চারটি পতাকা বৈঠক  অনুষ্ঠিত হয়। এতে সীমান্ত হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।

ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানজীর আহাম্মদ সোমবার সন্ধ্যায় জনিয়েছিলেন, পতাকা বৈঠকে বিএসএফকে বলা হয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে পাল্টা জবাব দেবে বিজিবি।

আরবি/জেডআর

Link copied!