ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

হরিরামপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম

হরিরামপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠের যেদিকেই চোখ পড়ে দেখা যায় আমান ধানের সোনালী ঢেউ। যা দেখে কৃষকের মনে আশা বাঁধছে রঙিন স্বপ্ন।

আমন মূলত ধানের একটি বহুল প্রচলিত প্রাচীন প্রজাতি। তেমন কোন বিশেষ পরিচর্যা ছাড়াই অবলীলায় বেড়ে উঠে আমন ধান। এই ধান জুন-জুলাই মাসে রোপণ করা হয় এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে কাটা হয়। তাই একে ‍‍`উইন্টার রাইস‍‍`ও বলা হয়ে থাকে।  বাংলাদেশে এর প্রায় দুই হাজার জাত রয়েছে। তবে প্রচলিত দেশি প্রজাতি, মধুশাইল ও হিজলদিঘা জাতের আমন চাষেই বেশি ঝুকেছে কৃষকরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার গালা, বাল্লা, চালা, গোপীনাথপুর সহ প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই কমবেশি আমনের চাষ করা হয়েছে। সকালের তীব্র কুয়াশা  ও দুপুরের তীক্ষ্ণ রোদ উপেক্ষা করেই মাঠে আমন ধান কাটা, মাড়াই ও ঘড়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

গালা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের কৃষক নিবিড় মন্ডল জানান, এবছর আমন ধানের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আশা করছি ৩০ মনের উপরে ধান পাবো। শুনেছি এবার বাজারে ধানের দামও ভালো।

শাখিনি গ্রামের কৃষক শহিদ মিয়া বলেন, বর্ষার পানির ভাবে মনে করেছিলাম এবার আমন ধান হবেই না। তবুও পরবর্তীতে ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে বেশ ভালো আমন ধান হয়েছে৷ প্রতি বিঘায় অন্তত ৫ মন ধান হবে। আমন ধানে তেমন কোন পরিচর্যা বা সার কীটনাশকের দরকার হয়না। তাই খরচও অনেক কম হয়। দাম ভালো পেলে আশা করছি এবার লাভবান হতে পারবো।

চালা ইউনিয়নের সট্টি গ্রামের কৃষক নয়া মিয়া জানান, এবার আমন ধান বেশ ভালোই হয়েছে৷ শুনেছি বাজারেও ধানের দাম ভালো যাচ্ছে। তবে গতবছরের চেয়ে এবার ধান কাটার মজুরির দাম বেশি। দৈনিক একেকজন শ্রমিককে তিনবেলা খাইয়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে।

উপজেলার ঝিটকা বাজারের ধান ব্যবসায়ী জবেদ আলী বলেন, গত কয়েকদিন যাবত আমন ধান হাটে আসতে শুরু করছে ৷ মান অনুযায়ী আমরা ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা মন দরে কিনেছি।  তবে মনে হচ্ছে ধানের দাম আরও বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, এবারে আমন ধানে পোকার উপদ্রব কম থাকায় আমাদের ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো আছে। আমার বিশ্বাস আবহাওয়া ভালো থাকায় গতবারের তুলনায় এবার ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!