ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বটিয়াঘাটায় মাচায় তরমুজের বাম্পার ফলন

বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম

বটিয়াঘাটায় মাচায় তরমুজের বাম্পার ফলন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মাচায় তরমুজ চাষে কৃষকের আস্থা বাড়ছে। ৩৯০ হেক্টর, ইয়োলো বার্ড ২৫ হেক্টর, হিরা ড্রাগন কিং ৪০ হেক্টর, তৃপ্তি ৪০ হেক্টর, ব্লক বেবি ১০ হেক্টর, হানি কুইন ৩০ হেক্টর ও পাকিজা ৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। 

তবে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৫৫০ হেঃ জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে এর মধ্যে সব থেকে বেশি চাষ হয়েছে আমার ব্লক অর্থ্যাৎ সুরখালী ইউনিয়ন চাষ ৫০০ হেঃ জমিতে। 

জানা যায়, ক্লাইমেট স্মার্ট প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি‍‍`র মাধ্যমে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রকল্প ২০২১ সালে ১০ টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ৭০ হেঃ জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ শুরু হয়। ২০২৩ সালে ৩০০ হেঃ এবং ২০২৪ সালে ৫০০ হেঃ এসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। 

আরো জানা যায়,১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতে খরচ ২০/২৫ হাজার টাকা কিন্তু বিক্রি হবে ৯০ হতে এক লাখ টাকা। যে কারণে শিক্ষিত বেকার যুবকেরা তরমুজ চাষে ঝুকে পড়েছে। আগে ঐ সকল জমিতে ধান চাষ করে বিঘা প্রতি লাভ হতো ২০/২৫ হাজার টাকা। অথচ সেই জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ করে লাভ হচ্ছে ৮০/৯০ হাজার টাকা। 

সার্বিক বিষয় বটিয়াঘাটা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজ চাষ তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তরমুজের বাজার মূল্য ছাড়িয়া যাবে কোটি টাকা। গত বছর চাষ হয়েছিলো ৩০০ হেক্টর জমিতে, এবছর সেখানে চাষ হয়েছে ৫৫০ হেক্টর জমিতে। আশা করছি যদি প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হয়। তাহলে ১৮ হাজার মে. টন ফলন উৎপাদন হবে। যার বাজার মুল্য প্রায় একশ কোটি টাকা। 

তিনি আরও বলেন, আমার ২১ জন উপসহকারী কৃষি অফিসার দিন রাত কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শের কারণে আজ এই সাফল্য।

আরবি/জেডআর

Link copied!