বাগেরহাট: মোংলায় জমি বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক ব্যবসায়ী। উপজেলার দিগরাজ এলাকার ব্যবসায়ী মো. শাহিন শেখ জমি বন্ধক রাখেন একই এলাকার দোদান্ড প্রতাপশালী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন হাওলাদারের কাছে। ২০১৩ সালে বন্ধকীর জমির জন্য নেওয়া টাকা পরিষোধ করেও জমি ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। এ অবস্থায় জমি ফেরত চাইলে তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় জমি ফেরত পেতে সে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে ভুক্তভোগি শাহিন শেখ জানান।
বাগেরহাট জেলা আদলতের একজন উকিলের পাঠনো ওই আইনি নোটিশের মাধ্যমে জানা যায়, ব্যবসায়ী শাহিন শেখ মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরাজ মৌজায় তার ৭৫ দশমিক ৫০ শতক জমি ২০১৩ সালে একই এলাকার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন হাওলাদারের কাছে বন্ধক রেখে ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। পরে ওই জমি শাহিন ছাড়িয়ে নিতে নাসির উদ্দিন হাওলাদারের কাছে গেলে তার কাছে ৫০লাখ টাকা দাবি করেন। রাজনৈতি এক হেভিওয়েট নেতার প্রশ্রয়ে দোদান্ড প্রতাপশালী বনে যাওয়া নাসিরের দাবি অনুযায়ী শাহিন ৫০লাখ টাকাও দেন শাহিন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহিন শেখ বলেন, ৫০লাখ টাকা নিয়ে নাসির তার ওই জমি ফেরত না দিয়ে জালিয়াতি করে জমিটি তার নামে মিউটেশন করে নেয়। তবে জমিটি শাহিনের দখলে থাকলেও ভোগ করতে পারছেন না তিনি। এজন্য জমি ও তার টাকা ফেরত নিতে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন হাওলাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শাহিন তার জমি কখনোই বন্ধক রাখেননি, আমি ও আমার স্ত্রী আসমার কাছে গত ২০১৩সালে বিক্রি করেছেন। আমার এ জমির মিউটেশনসহ খাজনাও পরিশোধ করা আছে। বন্ধকী জমি কখনো মিউটেশন হয়না, খাজনা দেয়া যায়না উল্লেখ তিনি আরও বলেন, শাহিন এখন তার বিক্রি করা জমি জবর দখল নিতে গত ১৭আগস্ট তাকে হত্যা চেষ্টা চালায়। এজন্য গত ১৮আগষ্ট শাহিনকে আসামী করে আমার ভাগ্নে মো. সোহেল মোংলা থানায় একটি মামলাও করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম মামলা রুজুর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :