আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে নিজেদের প্রথম সারির আন্দোলনকারী দাবি করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরিচয়ে কেউ অনৈতিক সুবিধা বা নিজেদের জাহির করার চেষ্টা করলে সাথে সাথে প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধিরা। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নামে যে কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তারা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের উখিয়া প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সে রক্তমাখা স্বাধীনতার পর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরিচয়ে নানা জায়গায় অনৈতিক সুবিধার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আন্দোলনের সময় সকল রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো।
কিন্তু পট পরিবর্তনের পর নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর বা ব্যক্তি টার্গেট করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এগুলো আমরা কখনোই মেনে নিবোনা। যারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের কোনো দল নেই। তাদের একটি পরিচয় তারা অপরাধী, চাঁদাবাজ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন,আমরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর কিংবা প্রতিষ্ঠানকে এটি আশ্বস্ত করতে চায় যে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে কেউ অনৈতিক সুবিধা চাইলে তাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করবেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন নাজুক ছিল তখন আমরা নিজেরাই মাঠে সক্রিয় ছিলাম। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই আমরা নিজেদের পড়াশোনার দিকে মনোনিবেশ করছি।
সুতরাং, আজকের পর থেকে কোনো শিক্ষার্থী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার বা স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করলে স্ব স্ব অবস্থান থেকে বয়কট করার আহবান জানান ছাত্রপ্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র প্রতিনিধিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, তাওহীদুল ইসলাম রাপী,দিদার আলম,হাসান ইবনুল সাব্বির,তাজুল ইসলাম,বুরহান উদ্দীন ফারুকি,আরিফুল ইসলাম,সালমান ইসলাম সহ সাধারণ ছাত্ররা।
আপনার মতামত লিখুন :