বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছর বিএনপির মিছিলে লোক খুঁজে পাইনি। আর এখন এতো বিএনপি হয়েছে, যে মঞ্চে জায়গা পাওয়া যায় না। আমি বলতে চাই, যারা আওয়ামী লীগের লোকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপির ওপর হামলা করেছে, তাদের যারা দলে নিয়ে আসবে সেই সকল নেতার ব্যবস্থা আগে করা হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নাটোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছে। আমাদের ওপর এতো জুলুম করেছে, তাও আমরা পালিয়ে যাইনি। কিন্তু শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছে।
দুলু বলেন, ৫ তারিখের পরিবর্তনের অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতারা এসব ইন্ধন দিচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যর বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, দেশ এখন সঠিকভাবে চলছে না। ঢাকার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এই সরকারের মধ্যে এখনো আওয়ামী লীগের লোক রয়েছে। জুডিসিয়ারিতে এখন ও সেই সকল বিচারকরা রয়েছে যারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রায় দিয়েছে। তারা এখনো বহুল তবিয়তে আছে। তাদেরকে অতিসত্বর সরিয়ে নতুন লোকদেরকে সেখানে বসানো উচিত। নির্বাচিত জবাবদিহি মুলক সরকার না থাকলে দেশ সঠিকভাবে চলতে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে। তাই আমরা অতিসত্বর নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাই।
নির্বাহী কমিটির এই সদস্য বলেন, নাটোরের সিনিয়র নেতাকর্মীদের মারতে মারতে মরে গিয়েছে মনে করে রেখে যেত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। বিগত দিনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।নাটোরের প্রাণ ফ্যাক্টরিতে লুটপাট করে খেয়েছে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী এমপি। নাটোরের মাটিতে আর কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি হতে দেব না। নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়ার সন্ত্রাসী, অবৈধ এমপির (শিমুলের) বিচার নাটোরের মাটিতেই করবো।
বিএনপির কোনো নেতা কর্মীও যদি নিরিহ মানুষের বাড়ি পুকুর দখল করে তাদেরও প্রতিহত করা হবে।
তেবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :