কুষ্টিয়ার আলোচিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে গুমের ঘটনায় ৯ বছর পর মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ, তাঁর চাচাতো ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সবুজের ভাই আরিফুল হোসেন সজিব। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স এর সাবেক সহ-সভাপতি, যুব সমাজের আইডল হিসাবে পরিচিত শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজ। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতাকে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট গাজীপুরের ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট থেকে আটক করে সাদা পোশাকধারীরা।
আটকের ৬ দিন পর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবু ফিরে আসলেও এখন পর্যন্তও সন্ধান পাওয়া যায়নি শেখ সাজ্জাদ হসেন সবুজের। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজ নিখোঁজ হয়। অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছে তার মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান ও শুভাকাঙ্খীরা। সন্তান ও স্বামীর সন্ধানের দাবিতে সবুজের মা ও বউ বিভিন্ন সময়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি ও বড় বড় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। তাতেও সন্ধান মেলেনি সবুজের।
আপনার মতামত লিখুন :