ঢাকা রবিবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৪

বগুড়ার সাবেক দুই এমপিসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ১১:১৫ পিএম

বগুড়ার সাবেক দুই এমপিসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার শেরপুরে সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নতুন করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ১৪৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা গ্রামের রিফাত সরকার (২২) শেরপুর থানায় এই মামলা করেন। এরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম (৫২), একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক (৪৮), পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম (৫২), খন্দকারটোলা এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৫) ও গড়েরবাড়ি এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৪)।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। মিছিলটি পৌরশহরের ধুনট মোড় এলাকায় পৌঁছালে সাবেক দুই সংসদ সদস্যের নির্দেশে অন্য আসামিরা আগ্নেয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এতে মামলার বাদী রিফাত সরকার গুলিবিদ্ধ ও অনেকে গুরুতর আহত হন। রিফাত সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া জেলার প্রধান সমন্বয়ক সাবিক খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা যত দূর জানি রিফাত সরকার মূলত ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তিনি বিভিন্ন স্থানে সমন্বয়কের পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলা করেছেন যেখানে নিরপরাধ ব্যক্তিদেরও হয়রানির শিকার হওয়ার সুযোগ আছে। আমরা এই মামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে বাদীর লিখিত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে বিস্ফোরক দ্রব্য ও দণ্ডবিধির আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাতে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির মিছিলে হামলা ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক এমপি হাবিবর রহমান ও মজিবর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও দণ্ডবিধি আইনে মামলা করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির শেরপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ১৪১ জন নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

আরবি/জেডআর

Link copied!