সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে একের পর এক গরুর চুরির হিড়িক পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা গরু চুরি`র ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। সর্বশেষ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের এক কৃষকের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে পৃথক পৃথক স্থান থেকে ২টি ষাড় গরু ও ৫টি পাঠা ছাগল চুরি হয়েছে। এ ঘটনার পর উপজেলা বাসীর মাঝে গরু চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। গরু চুরির ঘটনায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চোরের কবল থেকে গরু রক্ষা করতে রাত জেগে গোয়াল ঘর পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
গরুর মালিকেরা জানান, গত শনিবার মধ্যে রাতে উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের দেউলমোড়া গ্রামের ভাড়াটিয়া থাকা বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি এলাকার গরুর মালিক সুলতান মাহমুদের ২টি বড় ষাঁড় গরু ও ৫টি পাঠা ছাগল চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে।
অপরদিকে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে একই ইউনিয়নের শ্রীদাসগাঁতী গ্রামের মোশারফ হোসেনের ২টি বিদেশী জাতের গাভী একই কায়দা চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। এনিয়ে মোট মোট ৯টি গবাদি পুশ চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরের দল।
স্থানীয়রা বলছে, প্রতি বছর শীতের সময়ে বাড়ে এই অঞ্চলে চোরের উপদ্রব। তাই এই সময়ে চোরের ভয়ে গরু লালন-পালন থেকে বিরত থাকছেন তারা। এতে সংসারে বাড়তি আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
বিগত দিনে এ উপজেলায় বিপুলসংখ্যক গরু চুরির ঘটনা ঘটলেও অতীতে কোনো গরু উদ্ধার না হওয়াসহ পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে আইনি পদক্ষেপ নিতে তেমন আগ্রহ নেই ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিকদের।
উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সামছুল আলম খোকন জানান, গরুর চুরি বিষয়টি আমি শুনতে পেরেছি। যেহেতু গত কয়েকদিন আগেই এই ইউনিয়নে গরু চুরি হয়েছে। তাই দ্রুত চুরি রোধে পুলিশিং আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে আরো গরু চুরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গরু চুরির বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, চুরির বিষয়ে তেমন অভিযোগ না আসায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না তারা। তাই ঘটনা ঘটার সঙ্গে থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :