নড়াইলে নানা আয়োজনে খ্যাতি সম্পন্ন চিত্রশীল্পী এস এম সুলতানের ৩০ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় শিল্পী এস এম সুলতানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৮ টায় শিশুস্বর্গ মিলনায়তনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সকাল সাড়ে ৯ টায় এস এম সুলতানের সমাধীস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল, শিশুদের অঙ্কিত চিত্রকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন, ও সকাল ১০ টায় শিশুস্বর্গ মিলনায়তনে শিল্পী এস এম সুলতানের জীবনী ও কর্মের উপর আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও পটগান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. যুবায়ের হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এম এম আরাফাত হোসেন, এনডিসি মো. জিসান আলী, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্য সচিব অ্যাড. মো. ইকবাল হোসেন সিকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মূখার্জী, সুলতান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, এস এম সুলতান চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ও সুলতান প্রেমীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি শারমিন আক্তার জাহান বলেন, মাটি ও মানুষের শিল্পী এস এম সুলতান আমাদের গর্ব। তিনি শিল্পকর্মের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। তার চিত্রকর্মে গ্রাম বাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে। তার দর্শণ সবসময় আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। এসময় তিনি শিল্পী এস এম সুলতানের চিত্রকর্ম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আহবান জানান। চিত্র শিল্পী এস এম সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এস এম সুলতান। শিল্পী এস এম সুলতান ১৯৮২সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
এছাড়াও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যান অব দ্য ইয়ার, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট, এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ম্যান অব এশিয়া পুরস্কার লাভ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :