ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩ নং আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ওই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার (সচিব) অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পলি কর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযোগকারী আকচা ইউপি সচিব রিজওয়ানা মুস্তারী বর্না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন একই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহার, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান এবং জোরপূর্বক চেক বহিতে স্বাক্ষর করার অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন।
একই প্রজ্ঞাপনে আরোও বলা হয়েছে, যেহেতু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেহেতু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাধীন ৩ নং আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন কর্তক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদ সহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার ( ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে একই আইনের ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আকচা ইউপি সচিব রিজওয়ানা মুস্তারী বর্না জানান, চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন চলতি বছরের গত ৬ এপ্রিল অফিস বন্ধ থাকার পরেও আমাকে পরিষদে ডেকে আনেন এবং চেক বহিতে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় তিনি আমাকে অনেক ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করলে আমি পরদিন ৭ এপ্রিল তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। তিনি অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত চেয়ারম্যানের অপরাধ প্রমানিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপের কারনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বর্তমান বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়া শুরু করেছে। আশা করি এমন অপরাধের ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করলে কোন চেয়ারম্যান জনস্বার্থ পরিপন্থী কোন কাজ করার সাহস পাবে না। সেই সাথে আমাদের প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।
তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :