ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

শঙ্খের চরে সবজি চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল

এসএম রাশেদ, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম

শঙ্খের চরে সবজি চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্ত রেখায় প্রবাহিত খরস্রোতা দোহাজারী শঙ্খ নদীর বিস্তৃর্ণ সবজি চাষ করে দু’ উপজেলার অনেক সবজি চাষির ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও বন্যা না হওয়ায় এবং সবজির দাম উপযুক্ত দাম থাকায় নদীর চরে এবার আগাম শীতকালীন চাষ করে লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন চাষিরা। যার ফলে তাদের ভার্গ্যের পরিবর্তনও ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন। গত মৌসুমে রবিশস্যসহ শীতকালীন সব ধরনের সবজি মিলে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষাবাদ করেন কৃষকরা; যা পুরোপুরি অর্জিত হয়েছিল। চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শঙ্খ নদীতে জেগে উঠা চরে কৃষকেরা বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাধাকপি, তিত করলা, বরবটি, টমেটো, শিম, ছিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়শসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষে শঙ্খ নদীর চরের দু’পাড় যেন সবুজ চাঁদরে ঢেকে গেছে।

চাগাচরের কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, শঙ্খ নদীর চরে অন্যন্য বছর বন্যার কারণে শীতকালীন আগাম সবজির চাষ করতে পারেননি। কিন্তু এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তিনি এবার আগাম মুলা, বেগুন, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, ফলের চাষ করেছেন। দাম ভালো পাচ্ছেন আশা করছেন অর্ধকোটি টাকার সবজি বিক্রি করবেন।

পূর্ব দোহাজারী এলাকার সবজি চাষি এম ফয়েজুর রহমান বলেন, এবার শীতকালীন আগাম তিত করলা, ধনিয়ারপাতা, মুলা, ঢেঁড়শ, শিম চাষ করেছেন ফলনও ভালো হয়েছে দামও ভালো পাচ্ছেন।

লালুটিয়া এলাকার কৃষক বাদশা মিয়া জানান, কীটনাশকের দাম বেশী হওয়ায় এবং সবজির দাম কম থাকায় গত বছর তেমন লাভবান হতে পারেননি। কিন্তু এবার সবজির ফলনও ভালো হয়েছে দামও পাচ্ছেন।

ইদ্রিচ, নুরুন্নবী, আকতার হোসেন, ঠান্টু মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার শঙ্খ নদীর চর থকে গড়ে প্রতিদিন অর্ধ কোটি টাকার সবজি দোহাজারী রেলওয়ের ঐতিহ্যবাহী পাইকারী সবজির কাঁচা বাজারে উঠে সেখান থেকে পাইকাররা চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার হাটঁবাজা, ঢাকাসহ সারাদেশে রপ্তানি হয়। বর্তমানে দোহাজারীর রেলওয়ের সবজির পাইকারী বাজারে কেজিপ্রতি সবজি তিতকরলা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, ঢ়েঁড়শ ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৪৫, বরবটি ৫০ টাকা, কাঁচা পেপে ২৫ টাকা, মুলা ৬০/৬৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, শিম ১৩০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।


 

আরবি/জেডআর

Link copied!