ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

চসিকের গাড়ির মালিক রুবেল!

সাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০১:১৬ এএম

চসিকের গাড়ির মালিক রুবেল!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করে জনৈক আব্দুল মতিনের নামে নিবন্ধন দিয়েছে বিআরটিএ। মালিকানা পরিবর্তনের কারণে একটি নম্বরপ্লেটে নগরীতে চলছে দুটি গাড়ি। 

বিআরটিএ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একই নম্বরপ্লেটে সড়কে দুটি গাড়ি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ চসিক কর্মকর্তারা।

২০০৬ সালে বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন পাওয়া চট্ট-মেট্রো-দ-১১-০২৩২ সিএনজি অটোরিকশার মালিক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। সেই থেকে চসিকের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে গাড়িটি। চট্ট-মেট্রো-দ-১১-০২৩২ নম্বরের মালিকও চসিক এটিও সড়কে চলছে ব্যক্তিমালিকানাধীন সিএনজি অটোরিকশায়। কিন্তু ২০২২ সালের বিআরটিএর রেকর্ডে দেখা যায়, একই নিবন্ধন নম্বরের গাড়ির মালিক আব্দুল মতিন রুবেল। সেখানে ইস্যু ডেট লেখা রয়েছে ৩ এপ্রিল ২০০৬ এবং ম্যানুফেকচার ইয়ার ২০০৬। বর্তমানে একই নিবন্ধন নম্বরে দুটি গাড়িই শহরে চলাচল করছে। এমন ঘটনায় হতবাক চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও। চার মাসে বারবার বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ চসিক কর্মকর্তাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালে চসিকের নামে রেজিস্ট্রেশন হওয়া দুটি সিএনজি গাড়ি অন্য ব্যক্তির নামে মালিকানা পরিবর্তন করেছে বিআরটিএ। বিষয়টি জানার পর চসিক থেকে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য বারবার বিআরটিএতে যোগাযোগ করার পরও তারা আমাদের কোনো সাহায্য করেনি। এখন আমরা মিনিস্ট্রিতে পাঠাব। এরপর প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

চসিকের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইমাম হোসেন খোকা বলেন, ‘চসিকের গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের ঘটনায় আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর বিআরটিএ কর্মকর্তাদের কাছে পাঁচবার ফিজিক্যাল গিয়েছি, ১০-১৫ বার ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা মূল নথি খুঁজে পাচ্ছে না বলে আমাকে জানিয়েছে। এখন আমি বিষয়টি চিফ স্যারকে জানিয়েছি, ওনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন তাই হবে।’

বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো সার্কেল-২-এর ডিডি আইনুল হুদা বলেন, ‘আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি না। ডকুমেন্ট অনুযায়ী আমি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করব। গাড়িগুলো অনলাইন থেকে সাসপেন্ড আছে। ফাইলটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর আমাদের অফিসে একবার আগুন লেগেছিল। তখন পুড়ে গেছে কি না, আমরা তা খুঁজে দেখছি।’
বিআরটিএর নিয়ম অনুযায়ী কোনো গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করতে হলে চুক্তিপত্রের একটি হলফনামা বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হয়। গাড়ির মালিক ব্যক্তি হলে তাকে সশরীরে এবং প্রতিষ্ঠান হলে সেই প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে মালিকানা পরিবর্তন করতে হয়।

আরবি/জেডআর

Link copied!