ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

১৫ বছর ছাত্রলীগ, এখন শুনি ছাত্রশিবির: স্বেচ্ছাসেবক দল

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম

১৫ বছর ছাত্রলীগ, এখন শুনি ছাত্রশিবির: স্বেচ্ছাসেবক দল

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেছেন, গত ১৫ বছর ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করে ভাইরাল হন একজন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর শুনি সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সভাপতি। এমন কর্মী যেন বিএনপির ঘরে জন্ম না নেয়।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময় ভূমিকা রাখবে।

দেশে বিএনপির কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতা রাজিব আহসান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আপনারা ঐক্য হয়ে রাজপথের সকল গণ আন্দোলনে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী নির্বাচনে গ্রামগঞ্জের প্রতিটি ইউনিটে ছাত্রদল, যুবদলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন। আমরা সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনামূলক কাজ করে যাচ্ছি।

যৌথ কর্মীসভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল। বক্তব্য রাখেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামলী আকতার।

আরও বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কী, শহর ছাত্রদলের সভাপতি এস এম রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিমন।

বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ব বরণকারীদের সঠিক তালিকা তৈরী করে দেশের মানুষকে জানাতে হবে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তাঁরা শহীদ হয়েছে। টাকার জন্য কেও অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে জীবন দেয়নি।

নেতারা আরও বলেন, আমরা যদি সঠিক মানুষের হাতে নেতৃত্বে দিতে পারি, তাহলে দেশের মানুষ সকল অধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি খুঁজে পাবে। রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য কেবল ক্ষমতায়ন নয়। আমাদের গড়ে তুলতে হবে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক উদার ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। বিএনপি সরকার গঠন করলে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করা হবে। নতুন রপ্তানী পণ্যের বিদেশী বাজার সৃষ্টি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরী করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!