তেরো বছরের শিশু সিনতা। যে সময়টায় ছুটোছুটি আর স্কুলে যাওয়ার কথা, সে সময়টিতে সে শুয়ে রয়েছে বিছানায়। তার ছোট্ট শরীরে শ্বাসকষ্ট, হার্টে অস্বাভাবিক শব্দ ও ক্লান্তি এবং দুর্বলতা সহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছে সে। সিনতা সুস্থ হয়ে বাঁচতে চায়। অন্য শিশুদের মতো সেও স্কুলে যেতে চায়। মা-বাবার আদর পেয়ে বড় হয়ে পৃথিবীতে থাকতে চায়। কিন্তু হার্টের ছিদ্র ও হার্টের ভাল্ব জনিত রোগে সাদিয়া আক্তার সিনতা জন্ম থেকেই আক্রান্ত। তবে তারপরও তাকে সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টায় নিজেদের সবটুকু উজার করে দিয়েছেন মা-বাবা।
সিনতার বাবা মমিনুল ইসলাম। পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের হরিশ্বর কালোয়া খলিলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তার দ্বিতীয় সন্তান কন্যা শিশু সিনতা।
প্রায় আড়াই মাস ধরে চিকিৎসাধীন শিশুটি। প্রথমে কুড়িগ্রামে চিকিৎসা নেয়ার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেখানে ভর্তি থাকায় অবস্থায় দায়িত্বরত চিকিৎসক কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো: আবু জাহিদ বসুনিয়া শিশু সিনতার অপারেশনের জন্য রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রেফার্ড করেন। এতে চিকিৎসা ব্যায়ের জন্য প্রয়োজন হবে অন্তত সাড়ে চার লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। এখন পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসার পেছনে ব্যায় হয়েছে আনুমানিক ৯০ হাজার টাকা। শিশুটির চিকিৎসার জন্য আরো প্রয়োজন সাড়ে চার লাখ টাকা। কিন্তু দিনমজুর বাবা মমিনুল ইসলামের একার পক্ষে এতো অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই তার অসুস্থ শিশু সিনতা এখনও বাড়ীতে বিছানায় পরে রয়েছে। সন্তানের চিকিৎসার জন্য সকলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন দিনমজুর পিতা মমিনুল ইসলাম।
মমিনুল ইসলাম জানান, সাদিয়া আক্তার সিনতা জন্মগতভাবে হার্টের ছিদ্র ও হার্টের ভাল্ব জনিত রোগে আক্রান্ত। বিষয়টি তাদের জানা ছিলো না। সন্তানের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে রোগ নির্নয়ের মাধ্যমে বিষয়টি তারা নিশ্চিত হোন। এতে আড়াই মাস ধরে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। সর্বশেষ রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ৮ নভেম্বর কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো: আবু জাহিদ বসুনিয়া শিশু সিনতার অপারেশনের জন্য রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নিতে বলেন। অসুস্থতা নিয়ে শিশুটি বর্তমানে বাড়ীতে বিছানায় কাতরাচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন, এমতাবস্থায় সন্তানের অপারেশনের জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এই অবস্থায় পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব। তাই সন্তানকে বাঁচাতে সিনতার বাবা-মা সবার কাছে আর্থিক সাহায্য ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।
সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম- মো. মমিনুল ইসলাম, একাউন্ট নম্বর-০১০০২৬৩১০৭৪৩২, জনতা ব্যাংক পিএলসি, কুড়িগ্রাম, ত্রিমোহনী শাখা।
বিকাশ ও নগদ-০১৩১১৬৭৭৪৯৫ (সিনতার মা-কনা)
আপনার মতামত লিখুন :