ঢাকা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। রাতভর কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো। ঘন কুয়াশার সাথে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। তীব্র শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলার চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮
ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে, বৃহস্পতিবার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিছুদিন ধরে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।

আনারুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, ঠান্ডার কারণে সকালে কোনো কাজ করতে পারি না। কাজ করলে হাত মনে হয় অবশ হয়ে যায়।

এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।

রবিউল নামে এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, সকালে জরুরি কাজে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে দিলেও সামনের কিছু দেখা যায় না।

এদিকে, এ জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। গত ১২ দিনে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৬০ জন শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪৯ এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২০ জন। এ ছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৫০০-৭০০ শিশু, বয়োবৃদ্ধ রোগীরা শীতজনিত কারণে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জোষ্ঠ্য পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, জেলা পরিষদ ও এনজিওদের কাছ থেকে পাওয়া প্রায় ৭০০ কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাহিদা পাঠানো হয়েছে সেগুলো পৌঁছুলে বিতরণ করা হবে। আর শীতে কর্মহীন মানুষের খাবারের ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা চালানো হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!