বাগেরহাট সদর উপজেলার ৫০ হাজার মানুষের আয়ের উৎস্য বাদোখালী বিল রক্ষা, এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন ও স্লুইজগেট সচল করার দাবি করেছেন পরিবেশকর্মীরা ও স্থানীয় কৃষকরা।
শনিবার ৭ ডিসেম্বর দুপুরে পরিবেশ সুরক্ষা নাগরিক কমিটি বাগেরহাট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।
বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, যাত্রাপুর এবং ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের ৭ হাজার একর জমি নিয়ে বাদোখালী বিল। এই বিলের কৃষি এবং মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
এসময়, পরিবেশ সুরক্ষা নাগরিক কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদস্য কামরুন্নাহার পলি, লীলা নারী দাস, মো. আলিমুজ্জামান, শেখ নেওয়াজ শরীফ, হাসান মাহমুদ জসিমসহ বাদোখালী বিল এলাকার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ৩৪/১ পোল্ডারের অধীনে থাকা নদী ও খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাদোখালী বিলে শুকনো মৌসুমে ব্যাপক পানি সংকটের সৃষ্টি হয়। আবার পানি নিস্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় বছরের ৬ মাসের বেশি সময় সদর উপজেলার রনভূমি, বাদোখালি, চাপাতলা, খুলসি, আফরাসহ ১৩টি গ্রাম জলাবদ্ধ থাকে।
একদিকে প্রয়োজনের সময় পানি সংকট, অন্যদিকে জলাবদ্ধতায় এলাকার কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই গ্রামগুলোর ৫০ হাজার মানুষের কৃষি ও মৎস্য খাতে আয় কমার পাশাপাশি জীবন-যাপনেও নেতীবাচক প্রভাব পড়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়া হলে, আগামীতে এই সমস্যাগুলো আরও গুরুতর হতে হবে। ফলে এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হবেন। কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
আয়োজকরা বলেন, এসব সমস্যার সমাধানের জন্য বাদোখালী ৩৪/১ পোল্ডারের অধীনে থাকা ৪টি স্লুইজগেট সচল করতে হবে। এই এলাকার ছোট বড় সকল নদী খাল দখলমুক্ত এবং পুণ:রায় খনন করা খুবই প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :