ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ, ২৯ জনের নামে হত্যা মামলা

টঙ্গী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৪, ১২:৩৭ এএম

ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ, ২৯ জনের নামে হত্যা মামলা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ও মাওলানা সাদ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হতাহত হওয়ার ঘটনায় ২৯ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত কয়েকশ জনকে।

মামলার বাদীর নাম এস এম আলম হোসেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামের মৃত এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে।

মামলায় আসামিরা হলেন, রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আবাসিক এলাকার মৃত রিফকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, খুলনা জেলার বাটিয়াঘাটা উপজেলার বড় কড়িয়া গ্রামের মনসুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ মনসুর, রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, একই এলাকার ড. কাজী এরতেজা হাসান, রাজধানীর উত্তরা এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মোয়াজ বিন নূর, সাভার থানা এলাকার জিয়া বিন কাশেম, ঢাকা জেলার তুরাগ থানা (বেলাল মসজিদ) এলাকার আজিমুদ্দিন, ঢাকা জেলার সাভার থানার সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, রাজধানীর মুগদা থানা (বড় মসজিদ) এলাকার শফিউল্লাহ, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা এলাকার মৃত মাওলানা মোজাম্মেলুল হকের ছেলে আনাস, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকার আব্দুল্লাহ শাকিল, রাজধানীর রমনা থানার কাকরাইল এলাকার রেজা আরিফ, উত্তরা পশ্চিম থানার (সেক্টর-৯) আব্দুল হান্নান, একই থানার (সেক্টর-১১) রেজাউল করিম তরফদার, ঢাকা জেলার তুরাগ থানার (বেলাল মসজিদ) এলাকার মুনির বিন ইউসুফ, ঢাকার সায়েম, হাজী বশির সিকদার, কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন, রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকার প্রকৌশলী মুহিবুল্লাহ, রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আতাউর রহমান, রাজধানীর এলিফ্যান্ট এলাকার তানভীর, ঢাকা জেলার তুরাগ থানার ভাটুলিয়া এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন, একই থানা এলাকার প্রকৌশলী আবুল বশর, প্রকৌশলী রেজনুর রহমান, রাজধানীর উত্তরা থানার (সেক্টর ১০) মৃত ফজলুল হক সিকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন সিকদার, ড. আব্দুস সালাম, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওয়াসি উদ্দিন, রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকার মিজান, ঢাকা জেলার তুরাগ থানার (বেলাল মসজিদ) এলাকার শাহাদাতসহ কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত আসামিরা মাওলানা সা’দের অনুসারী। গত ৪ ও ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় বাধা দিয়ে ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। তারা সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে সরকারী সিদ্ধান্ত বহির্ভূত আগামী ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে সা’দ অনুসারী জোড় করার মর্মে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা করতে থাকে। মামলার প্রধান আসামী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার সই করা চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সা’দ অনুসারীদের জানান যে আগামী ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানেই পুরাতনাদের জোড় হবে।

মামলার ২ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহ মনসুর ফেসবুক লাইভে ঘোষণা দেন, পুরাতনদের জোড়ে এবং বিশ্ব ইজতেমায় যদি মাওলানা সা’দ সাহেবকে আনতে দেওয়া না হয় এবং তাদের যদি টঙ্গী ময়দানে ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর জোড় করতে দেওয়া না হয়, তাহলে তারা সরকারের সিদ্ধান্তমতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব হতে দেবে না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠে জুবায়ের অনুসারীদের ৫০০ লোক মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য থাকতে পারবে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!