ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (সদর হাসপাতাল) বেড়েছে সর্দি, কাশি রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধরা। সচেতন মহল বলছে, এসময় রাতে ঠান্ডা দিনে ঘরম হওয়ায় এমন সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। এমন রোগাক্রান্ত থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় হলো সচেতন মূলক পরামর্শ গুলো যথা সময়ে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক রোগী রয়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে বেশির ভাগই দেড় থেকে পাঁচ বছরের শিশু। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের আতঙ্ক থাকলেও এমন রোগীর সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন।
চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, জ্বর, সর্দি কাশিটাই একটু বেশি। হটাৎ হটাৎ এমন সমস্যা হয় বাচ্ছাদের, বাচ্ছাদের পাশাপাশি মায়েদেরও এমন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বেডের চাইতে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়া একটু সমস্যা হচ্ছে, ফ্লোরের বিছানা করে থাকতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, বর্তমান সময়ে দিনে এবং রাতের তাপমাত্রা হিসেবেও বেশি পার্থক্য থাকে, তাছাড়া সিজনাল চেঞ্চ, এসময় সাধারণত ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি-কাশি, যেটাকে আমরা কমন রোগ বলি। মূলত ভাইরাসের কারনেই এমন সমস্যা তৈরি হয়। এমন ভাইরাসে বেশিরভাগই আক্রান্ত হয় বয়স্করা, শিশুরা বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এধরনের রোগীর সংখ্যা বর্তমানে বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি সবাইকে আহ্বান করবো। সবাই একটু সচেতন থাকার জন্য। রাতের বেলা যাতে শীতের জামা কাপড় পরিধান করে। দিনের বেলায় সচেতনার সাথে চলাচল করা। এধরনের রোগ দেখা দিলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া, অবহেলা না করা এবং নিয়মিত ঔষধ সেবন করা।
আপনার মতামত লিখুন :