ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫

উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ আভাস, নামছে তাপমাত্রার পারদ

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ আভাস, নামছে তাপমাত্রার পারদ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুয়াশা আর শীতল বাতাসে তীব্র হচ্ছে শীতের প্রকোপ। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শৈতপ্রবাহের মতো হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার পারদ। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার বগুড়ার আকাশে দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার কারণে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত। এদিন বগুড়া জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগেরদিন বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেই হবে শৈত্যপ্রবাহ।

গেল কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। দিনের বেলা কুয়াশার প্রভাব কম হলেও সন্ধ্যার পরই বাড়তে থাকে। রাতভর ঘন কুয়াশায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক, ফুটপাতের হকার, দোকানিসহ নিম্নআয়ের মানুষ। বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন ও ফুটপাতে থাকা মানুষগুলোকে শীতবস্ত্রহীন কাঁপতে দেখা গেছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। দুপচাঁচিয়া, নন্দীগ্রাম, শেরপুর, সারিয়াকান্দি, ধুনট, শিবগঞ্জ ও কাহালুসহ জেলার ১২টি উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত।

শাজাহানপুর উপজেলার টেংরামাগুর এলাকার আব্দুল করিম, আতিকুল ইসলাম ও বগুড়া শহরের আশরাফুল হোসেন মিন্টু জানান, দুদিন ধরে হিমশীতল বাতাস কাঁটার মতো শরীরে বিঁধছে। ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা থাকলেও শিশু-বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত অসুস্থ হচ্ছে। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে শীতল বাতাস।

ট্রাক চালকরা জানান, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক, বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক ও নওগাঁমুখী আঞ্চলিক সড়কে রাতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে চলাচল করতে গিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন বলেও জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

নন্দীগ্রাম ও আদমদীঘি উপজেলার কয়েকজন দিনমজুর জানান, দরিদ্র মানুষের কোনো শীত গরম নেই। ঠান্ডা বাতাসেও সকালে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। কাজ না করলে সংসার চলে না, পরিবারের সদস্যরা দুমুঠো ভাতও পাবে না। এখনো কেউ শীতবস্ত্র নিয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলা যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগেরদিন বুধবার ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। ফলে শীত বেশি অনুভূত হবে। 

আরবি/জেডআর

Link copied!