বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

কোয়েল পাখি পালনে কলেজ শিক্ষার্থীর মাসে আয় লাখ টাকা

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

কোয়েল পাখি পালনে কলেজ শিক্ষার্থীর মাসে আয় লাখ  টাকা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নরসিংদীর পলাশে কোয়েল পাখির খামার করে আর্থিক ভাবে সফলতা পেয়েছে স্বাধীন চৌধুরী নামে এক তরুণ উদ্যোক্তা। আর এই খামার থেকেই প্রতিমাসে আয় করছে লক্ষাধিক টাকা। দেশের দুরদূরান্ত থেকে অনেকেই তার খামার থেকে কোয়েল পাখি সংগ্রহ করে নতুন নতুন খামার গড়ে তুলছেন। এছাড়া এলাকার অনেক বেকার যুবকও স্বাধীনের এই খামার দেখে কোয়েল পাখি পালনে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

শখের বসে দুই বছর আগে এক বন্ধুর কথায় অনুপ্রানিত হয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগিয়ে মাত্র ৫ হাজার কোয়েল পাখি নিয়ে যাত্রা শুরু করে পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের রওশন আলীর ছেলে, নরসিংদী সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাধীন চৌধুরী।

সরেজমিনে স্বাধীন চৌধুরীর কোয়েল খামারে গেলে সে জানায়, প্রথমে নিজ বাড়িতে ছোট করে খামার গড়ে তুললেও এখন পারুলিয়া গ্রামে বড় আকাঁরে একটি খামার গড়ে তুলে সে। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ৫০ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। যা থেকে প্রতিমাসে আয় করছে লক্ষধিক টাকা। স্বাধীনের এই খামারটিতে বিভিন্ন হ্যাচারি থেকে ১ দিনের বাচ্চা সংগ্রহ করে তা ২৫ থেকে
৩০ দিন লালন পালন করে বড় করে দেশের বিভিন্ন খামারিদের কাছে বিক্রি করা হয়।

স্বাধীন আরো জানান, তার খামার থেকে পালনের জন্য প্রতিটি নারী পাখি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা এবং মাংসের জন্য প্রতিটি পাখি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কোয়েল পাখিগুলো আকারে বড় ও সুস্থ্য হওয়ায় দেশের বিভিন্ন খামারি ও পাইকারদের কাছে চাহিদাও রয়েছে অনেক। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নতুন নতুন অনেক উদ্যোক্তা এই খামার থেকে কোয়েল পাখি সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

এদিকে স্বাধীনের এই খামার দেখে এলাকার অনেকেই এখন কোয়েল পাখি পালনে আগ্রহ প্রকাশ করছে। একই সাথে খামারে কাজ করে বেকারত্ব দুর করেছে অনেক যুবক।

এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সাইফুল ইসলাম জানান,পোল্ট্রি খামার থেকে কোয়েল খামারে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় দিনদিন বাড়ছে নতুন নতুন খামারির সংখ্যা। খামারিদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগীতা করে আসছে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর।কোয়েল পাখির মাংস ও ডিমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। এই পাখির খামারের বিস্তার ঘটাতে পারলে একদিকে যেমন দেশে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে অন্যদিকে খামারিরাও অনেকটা লাভবান হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!