জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে এক বৃদ্ধের খাবার হোটেল দখল করে বিএনপি`র অফিস নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মাত্রাই ইউপি কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ওই খাবার হোটেল মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদসহ কয়েকজন জোরপূর্বক দখল করেন।
এ ঘটনায় হোটেল মালিক কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হোটেল মালিক এবং লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশে খাবার হোটেলের ব্যবসা করে আসছিলেন রেজাউল করিম তালুকদার নাজু। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল বেলা জাহিদুল ইসলাম জাহিদসহ কয়েকজন ওই হোটেলে প্রবেশ করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা হোটেল মালিককে ধাক্কা দিয়ে হোটেল থেকে বের করে দেন এবং হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপরে তারা হোটেলকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের রূপ দেন এবং হোটেলের সামনে টাঙিয়ে দেন দলীয় সাইনবোর্ড।
রেজাউল করিম তালুকদার নাজু বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমার বয়স সত্তরের কাছাকাছি। ওই খাবার হোটেল এর উপার্জনেই আমার সংসার চলত। তারা আমার হোটেল দখল করে আমার রিযিকে লাথি মেরেছে, আমি বৃদ্ধ মানুষ কিভাবে সংসার চালাবো আর কি খাবো? আমি এ বিষয়ে ইউএনও এবং ওসি বরারবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্ত মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ খাবার হোটেল দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিএনপি সরকারের সময়ে ওই হোটেলের স্থানে বিএনপি`র দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে আমাদের কার্যালয়টি ভেঙ্গে দেয়। তারপর সেখানে নতুনভাবে ঘর নির্মাণ করে রেজাউল করিম তালুকদার নাজু।’
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এ ঘটনাটি আমি কালাই থানায় যোগদানের আগে ঘটেছে। তারপরও বিষয়টি আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, ‘গত ২০ অক্টোবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :