বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম

নিম্নমানের সামগ্রীতে ড্রেন নির্মাণ, কাজের ধীরগতিতেও জনভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম

নিম্নমানের সামগ্রীতে ড্রেন নির্মাণ, কাজের ধীরগতিতেও জনভোগান্তি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের শিবরামপুর এলাকার কালীবাড়ি হতে নিহন্দ প্লটে রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের পাথর, সিলেট সেণ্ড ও বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ছাড়াও নির্মাণ কাজে ধীরগতিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

শিবালয় উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ নন মুরিসিপ্যাল প্রকল্পে ৫শ’ মিটার দৈর্ঘ্য প্রস্থ ০.৯ মিটার ও উচ্চতা ০.৬ মিটার ড্রেন নির্মাণে ১ কোটি ১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়। মেসার্স উপকূল কন্সট্রাকশনটি কাজটি পায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি দফায় দফায় বন্ধ রাখে। এ কারণে এলাকার মানুষের বাড়িঘরে যাতায়াতে ও পণ্য পরিবহনে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠতে বড় বড় গর্তের মধ্যে পড়ে অনেকে আহত হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের আধারে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

তাছাড়া, যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। তা খুব নিম্নমানের। মরা পাথর, ডাষ্ট মিক্সড সিলেট সেণ্ড ও বালু দিয়ে প্রকাশ্যে ড্রেনের ঢালাই করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালীবাড়ির পেছনে ড্রেনের ঢালাই দেয়া হচ্ছে। পাশেই স্তুপ করে রাখা আছে, পাথর, সিলেট সেণ্ড ও বালু। সিলেট সেণ্ডে ডাস্টের পরিমাণ বেশি ও বেশির ভাগই ওয়েটলেস (মরা) পাথর। সেখান থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আসাদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের সতত্য স্বীকার করে বলেন, ‘আরিচা ঘাট থেকে পাথর ও সিলেট সেণ্ড কেনা হয়েছে। তারা নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করেছেন।

এসব সামগ্রী সরবরাহের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। পরবর্তিতে উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের কথা জানিয়েছেন। 

দপ্তরে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা দেখে শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা সাইট থেকে সামগ্রী নিয়ে ল্যাব টেষ্ট করি। তারপর ব্যবহারের অনুমতি দেই। এলাকাবাসী যে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরবি/জেডআর

Link copied!