ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কে পিটিয়েছে অন্যপক্ষ

তাপস মাহমুদ, বরগুনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম

ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কে পিটিয়েছে অন্যপক্ষ

সমন্বয়ক রেজাউল করিম । ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক সমন্বয়ক মীর নীলয় গ্রুপের বিরুদ্ধে। গতকাল রাত সাড়ে ১২ টার সময় পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রদের পক্ষ থেকে বরগুনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ছাত্র সমন্বয়ক কতৃক হামলায় আহতরা হলেন, আরিফ, আশিক, মহিবুল্লাহ ও আবু হানিফ। তারা বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রেজাউল করিমের অনুসারী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের প্রতিনিধি বরগুনায় সফর করার কথা ছিল। এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল বুধবার রাতে বরগুনার সমন্বয়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞার সাথে আলোচনা করতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মীর নীলয় ও মুহিত নীলয়ের নেতৃত্বে অপর একটি  গ্রুপ সেখানে যায়। তখনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।

এর এক পর্যায়ে মীর নীলয় ও মুহিত নিলয়ের গ্রুপ বের হয়ে পৌরসহরের কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থান নেন। পরে রেজাউল করিমের গ্রুপ কাঠপট্টি আসলে তাদের উপর হামলা চালায় নীলয়ের গ্রুপ।

এই হামলায় সমন্বয়ক রেজাউল করিম সহ চার জন আহত হয়। পরে ওই রাতে সদর থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। আহত সমন্বয়ক রেজাউল করিম ও আহত আরিফকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে সমন্বয়ক রেজাউল করিম বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়ে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী। ছাত্রলীগ কর্মী মীর নিলয়, মুহিত নিলয়, সাজিদ, মাহিদ ও মুভিন সহ আরো অনেকে গতরাতে আমার উপর হকিস্টিক নিয়ে অতর্কিত হামলা করেছে। এতে আমি সহ চারজন আহত হয়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আহত  আরিফ বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

হামলার বিষয়টি মীর নীলয় ও মুহিত নীলয় অস্বীকার করে বলেন, মারধরের বা হামলার  কোন প্রমাণ থাকলে ওদের দেখাতে বলেন। তবে তিনি স্বীকার করে বলেন বিভিন্ন ঘটনায় মতানৈক্য সৃষ্টি নিয়ে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয় এবং ধাক্কাধাক্কি হয়।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরো দুজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন। এ ঘটনায় আহত আরিফ থানা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!