ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ওয়াকফ এস্টেটের ভাংচুরের ঘটনায় আদালতে নালিশী মামলা

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম

ওয়াকফ এস্টেটের ভাংচুরের ঘটনায় আদালতে নালিশী মামলা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) ঝিনাইদহের আদালতে ৭ জনের নামে নালিশী মামলা করেছেন কোটচাঁদপুরের হাজী আমলা নেসা বিবি ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লী ইমরান হোসেন। বিজ্ঞ. আদালত ওই মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর নালিশী বিবরণে জানা যায়,হাজি আমলা নেসা বিবি ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লী ইমরান হোসেন (৪২)। গত ২০১৮ সাল থেকে এস্টেটের উন্নয়ন ও উন্নতির জন্য মসজিদ ও মুসলিম উম্মার খেদমত সহ ইসলামীক সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহন করে এস্টেটের সেবায় কাজ করে আসছেন।

গত ৫ আগস্ট ৩ টা সময় আসামিরা জোট বন্ধ হইয়া ওয়াকফ এস্টেটের সম্পদ নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য হামলা চালায় এবং ভাংচুর করেন।এরপর ৬ আগষ্ট ৫ টার সময় আবারও সন্ত্রাসীরা হাতে দা. কুড়াল, লোহার রড, লাঠি, লোহার শাবল প্রভৃতি জীবন হানীকর মারাত্বক অস্ত্রসন্ত্র সহ ওয়াকফ এস্টেটের উপর আসিয়া ১নং আসামীর হুকুমে দেয়  ওয়াকফ এস্টেট ভাংচুর করেন এস্টেট মসজিদের মিনার, সিসি ক্যামেরা, এসির পয়েন্ট, বৈঠক খানা, সাইন বোর্ড এবং অফিসে থাকা আলমারি ও টেবিল সহ অন্যান্য আসবাবসপত্র।

এ সময় আসামিরা লুট করেন, টেবিলের ড্রয়ারে থাকা ২ লাখ ২০ হাজার ও দান বাক্সে রক্ষিত ১ লাখ টাকা।এ সব ঘটনা নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর মোতওয়ালী ইমরান হোসেন ঝিনাইদহ বিজ্ঞ. আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় ৭ জনকে। যার মধ্যে রয়েছে, আলতাফ হোসেন (৪৭), সামাউল্লাহ মনি (৩৮) মো. সাবু (৪৭), মো. লতিফ (৬০), মো. ইদ্রিস (৫৫), রাজা (৫৮),৭। মো. মোরসালিম (২৬)। এর সবাই কোটচাঁপুর পৌরসভাধীন সলেমানপুরের বাসিন্দা। বিজ্ঞ. আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গন্য করিবার জন্য কোটচাঁদপুর থানাকে আদেশ দিয়েছেন। এদিকে মামলার কথা জানতে পেরে আসামিরা বিভিন্ন ভাবে বাদি ইমরান হোসেন ও তাঁর লোকজনদের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল-মামুন বলেন, ওই ঘটনায় আদালতে নালিশী মামলা হয়েছে শুনেছি। তবে মামলার কপি এখন পর্যন্ত হাতে পাই নাই।

আরবি/জেডআর

Link copied!