নেত্রকোণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে ব্রি ধান৮৭ চাষাবাদ উদ্বুদ্ধকরণে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলার ছোটগাড়া এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ব্রি নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খালিদ হাসান তারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি, গাজীপুরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীফ সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. ইব্রাহিম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নেত্রকোণার উপপরিচালক মোঃ নূরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রি নেত্রকোণার সাইন্টিফিক অফিসার খালিদ হাসান সৌরভ, সাইন্টিফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট আনোয়ার হোসেন মন্ডল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুজন মিয়া, ব্রি নেত্রকোনার কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলার কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এর আগে সকালে ব্রি নেত্রকোনা প্রাঙ্গণে আধুনিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক একটি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশ নেন। ব্রি নেত্রকোনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খালিদ হাসান তারেক মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রাশিদ জানান, তারা আগে পুরোনো পদ্ধতিতে নিম্ন ফলনশীল ধানের চাষ করতেন। ব্রি’র পরামর্শে ব্রি ধান৮৭ ও ব্রি ধান১০৩ চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষের প্রশিক্ষণকে নেত্রকোনায় আরও বিস্তৃত করার আহ্বান জানান।
ব্রি নেত্রকোনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খালিদ হাসান তারেক জানান, নেত্রকোনায় হাওড়, সমতল ও পাহাড়ি এলাকা সহ নানা ধরনের কৃষি অঞ্চল রয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা বিভিন্ন অঞ্চলে গবেষণা সেট করেছি এবং সেসব অঞ্চলে যেসব জাতের ধান ভালো ফলন দেয়, তা প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।"
মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, "স্থানীয় পর্যায়ে ধানের জাত ও প্রযুক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্রি নেত্রকোণা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অবহেলিত অঞ্চলগুলোতে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করতে আমাদের গবেষণা অব্যাহত থাকবে।"
আপনার মতামত লিখুন :