ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সবুজ চাদরে ঢাকা ফসলের মাঠ, কৃষকদের রঙিন স্বপ্ন

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৪, ০২:০৪ পিএম

সবুজ চাদরে ঢাকা ফসলের মাঠ, কৃষকদের রঙিন স্বপ্ন

ছবি: রুপালী বাংলাদেশ

সবুজ চাঁদরে ঢাকা ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে। চারিদিকে এক অপরূপ দৃশ্যে দুলছে ধানের শীষ। আর সেই ধানের শীষেই দোল খাচ্ছে হাজারো প্রান্তিক কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চলতি রোপা আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও স্থানীয় কৃষিবিভাগ। মাঠের বেশির ভাগ জমির ধান পাকতে শুরু করেছে, আর দুই চার দিনের মধ্যে ধান কাটা মৌসুম শুরু হবে। তখন কৃষকের বাড়ির আঙিনা ভরে উঠবে সোনালী ধানের হাসিতে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে আক্কেলপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ধান চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৬শ ৪০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবার সেখানে স্বর্ণ-৫, গুটি স্বর্ণ, বিনা ধান ১৭, ২২, ২৭, বিধান-৭৫, ৯০, ১০৩, ধানী গোল্ড সহ বিভিন্ন জাতে ধান লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আরও ৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে।

নারিকেলী গ্রামের কৃষক শাহাজাহান আলী জানান, গতবার ভালো লাভবান হওয়ায় এবার রোপা আমন মৌসুমে বাড়তি জমিতে ধানের চাষাবাদ করেছি। গত মৌসুমে ১৪ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম এবার সেখানে ১৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধান লাগিয়েছি। শুরুতে ধানের পাতা লাল হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও পরবর্তীতে কৃষি অফিসের পরামর্শে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এখন ধানের গাছ খুবই সুন্দর হয়েছে তাতে আশা করা যাচ্ছে, প্রতি বিঘায় ১৮থেকে ২০মণের নিচে ফলন হবে না।

গোপীনাথপুর ঘোষপাড়া গ্রামের কৃষক বিল্পব চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবারে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ বা রোগ বালাইয়ের আক্রমণ না থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধান পাকতে শুরু করেছে, এই সপ্তাহের মধ্যে মাঠের সব ধান পেকে যাবে। এখন সুন্দরভাবে ধান ঘরে তোলার অপেক্ষা। প্রতিবিঘা ধানের উৎপাদন ব্যয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মতো, এর উপর কর্তন খরচ রয়েছে। আশা করছি, ১২শ’ টাকা থেকে ১৩হাজার টাকা মণ দরে ধান বেচাকেনা হবে। সরকারিভাবে গত বছর ১হাজার ১শ ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে করে ধানের ভালো দাম পেলে আমরা সবখরচ বাদ দিয়ে লাভবান হতে পারবো।

আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন রূপালী বাংলাদশেকে জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে রোগের আক্রমণ দেখা দিলেও পরে ব্যবস্থা নিলে সেটি কেটে যায়। ইতোমধ্যেই মাঠের বেশিরভাগ জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। ৮০ ভাগ পেকে গেলেই আমরা কৃষকদের ধান কেটে বাড়িতে তোলার পরামর্শ দিচ্ছি।

 

আরবি/জেআই

Link copied!