আকস্মিক আগুনে পুড়ে গেছে বগুড়ার ডিসি কার্যালয়ে জব্দ রাখা আলামত। অফিসের পাশে ক্যান্টিন খোলা থাকায় অগ্নিকান্ডের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে জেলা প্রশাসকের ভবন। শিবগঞ্জ ইউএনও অফিসের পর ডিসি অফিসে আগুনের ঘটনা দূর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
গত শনিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের বারান্দায় আকস্মিকভাবে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নেভানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আগুনের সুত্রপাত খুঁজতে তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে মালামাল জব্দ করে প্রমাণ (আলামত) হিসেবে ডিসি অফিসে রাখা ছিল। হঠাৎই সেখানে আগুন লাগে। পাশের ক্যান্টিনে থাকা লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে কর্মচারীদের জানায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নেভায়। ততক্ষণে পুড়ে গেছে রক্ষিত আলামত।
প্রত্যক্ষদর্শী আকবরিয়া ক্যান্টিনের কর্মচারী সাজিদ জানান, তিনিই প্রথমে আগুন দেখে চিৎকার দেন। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে বুঝতে পারেননি। ডিসি অফিসের কর্মচারীদের জানানোর পর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের বারান্দায় আগুন লেগেছিল। অল্প সময়েই নেভানো সম্ভব হয়েছে। সেখানে রাখা কিছু জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। অফিসের পাশেই আকবরিয়া ক্যান্টিন। বারান্দার গ্রীল দিয়ে দূর্বৃত্তরা আগুন দিতে পারে বলে ধারণা করছেন। তদন্তে আগুনের সুত্রপাত উন্মোচন হবে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, প্রশাসনের অভিযানে বিভিন্ন জায়গার মালামাল জব্দ করে প্রমাণ (আলামত) হিসেবে রাখা হয়েছিল। সেখানেই আগুন লাগে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কার্যালয়ে হঠাৎই বিকট শব্দে আগুন লাগে। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসসহ আসবাবপত্র পুড়ে অন্তত ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছিলেন শিবগঞ্জের ইউএনও তাহমিনা আক্তার।
আপনার মতামত লিখুন :