পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তায় মাদকসেবনরত অবস্থায় বহিরাগত ৫ যুবককে এবং অপর এক অভিযানে ৩ যুবককে আটক করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খান এর নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডিসহ নিরাপত্তা টীম মাদক সেবনরত অবস্থায় ৫ জন মাদকসেবীকে হাতেনাতে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নং নাসির খানের ছেলে কে এম আব্দুল্লাহ(১৬), শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মো. আবুল কালামের ছেলে মো. মুছাব্বির, আঙ্গারিয়া জালিশা গ্রামের দলিল উদ্দিন এর ছেলে মো. সৌরভ (১৭), সাতানির সেলিম হকের ছেলে মো. রাফি (১৭) এবং শ্রীরামপুর ১নং ওয়ার্ডের ইউনুচ আলী মৃধার পুত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান (১৭)। তাদের কাছ থেকে গাঁজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী(কনডম) উদ্ধার করা হয়। অপর এক অভিযানে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পেছন থেকে ৩ জন মাদকসেবি ও মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার রাজাখালী গ্রামের আমিনুল ইসলামের পুত্র ইকবাল আজিজ ((১৮), দক্ষিণ দুমকি গ্রামের কালাম খন্দকারের পুত্র মো. রাফি খন্দকার (১৭) এবং মাদকদ্রব্য বিক্রেতা ভোলা জেলার সদর উপজেলার মো. হারুনের ছেলে মো. সিয়াম (২০)। আটককৃতদের ৭ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “বর্তমানে প্রক্টরিয়াল টীমসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আমরা ২ জনকে শাস্তির আওতায় এনেছি। আজকেও আমরা ৫ জনকে আটক করেছি। বর্তমানে আমাদের চলমান এই অভিযান ও তদারকির ফলে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাদকের প্রাপ্তি ও সহজলভ্যতা কমাতে পেরেছি। আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :