দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। আউটডোর, ইনডোর, জরুরী বিভাগসহ হাসপাতালে ৩১ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র পাঁচজন। গর্ভবর্তী মায়েদের নরমাল ডেলিভারি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও রয়েছে ওষুধ ও জনবলের ঘাটতি।
বৃহৎ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা সেবা নিতে আসে হাসপাতালে। উপজেলায় ৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ জন রোগী সেবা নিতে আসে হাসপাতালে। জরুরী বিভাগে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ জন রোগী আসে, ভর্তি থাকে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ জন রোগী। সরকারি বাজেট অনুযায়ী ৩০ প্রকার ওষুধ থাকার কথা থাকলেও তা নেই। জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা হলেও আধুনিক মানের চিকিৎসা দেওয়া চেষ্টা করছেন পাঁচজন চিকিৎসক।
এ ছাড়া ডায়াবেটিস, প্রেসার ও অ্যাজমাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রোগের ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
ভক্তভোগী রোগীরা বলেন, এ হাসপাতালে একজন চিকিৎসক দিনে একশ থেকে দেড়শ রোগী দেখেন। তবে ৩০ থেকে ৪০ জনের বেশি রোগী দেখা উচিত নয়। এভাবে একটি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলতে পারে না। হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দিয়ে হাতে স্লিপ ধরিয়ে দেন। বাকি ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত গুটিকয়েক চিকিৎসক। তার পরেও রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহসীন বলেন, কম সংখ্যক জনবল দিয়ে জনবহুল অঞ্চলে সেবা দেওয়া বেশ কঠিন। সরবরাহে ঘাটতির কারণে ওষুধের বিষয়ে মাঝেমধ্যে কিছু জটিলতা হয়। হাসপাতালে যে ওষুধ সরবরাহ থাকে না, সেই ওষুধ দোকান থেকে নিয়ে আসতে বলা হয় রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। সরকারি বাজেট অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাজেট বাড়ানো দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :