শেখ হাসিনার পতনের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আত্মগোপনে ছিলেন বগুড়ার আলোচিত মেয়র বেলাল হোসেন ওরফে হাসুয়া বেলাল। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার বগুড়ার আদালতে হাজির করা হলে বেলালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বেলাল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। তিনি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র। বেলাল পৌর এলাকার পাইকপাড়া মহল্লার মৃত ছৈমুদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনের একদফা চলাকালে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। ঘটনাস্থলে যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিম (২৯) গুলিবিদ্ধ হন। পরে ৯ আগস্ট ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রায়হান দুপচাঁচিয়ার চক-সুখানগাড়ী এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। এরপর ১৭ আগস্ট নিহতের মা রওশন আরা বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার বেলাল হোসেন এজাহারনামীয় প্রধান আসামি।
দুপচাঁচিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় সময় হাতে হাসুয়া নিয়ে ঘুরেছেন পৌরসভার সাবেক মেয়র বেলাল। এরপর থেকেই তিনি হাসুয়া বেলাল নামে পরিচিত। মেয়র থাকাকালে চাঁদাবাজি, মাদক, ভূমিদস্যু, জুয়াড়িসহ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতেন। আওয়ামী লীগের সময় নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করেছিলেন।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, গত রোববার রাতে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র বেলাল হোসেনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার সদস্যরা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্তর করে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :