শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

দুপচাঁচিয়ার ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বাজার এখন বিলুপ্তির পথে

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

দুপচাঁচিয়ার ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বাজার এখন বিলুপ্তির পথে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দুপচাঁচিয়ার ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বাজার এখন বিলুপ্তির পথে। দুপচাঁচিয়া সদরে সর্বপ্রথম পুরান বাজার হলো তালোড়া রোড সোনার পট্টি সংলগ্ন এলাকায়। এই পুরাতন বাজারে কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বাজার লাগতো। দুপচাঁচিয়া সদরে পুরাতন বাজার নামে একটি বাজার ছিলো।

সরজমিনে দেখা যায়, পুরাতন বাজারের সরকারিভাবে চারটি চার চালা বিশিষ্ট চারটি সেড রয়েছে। প্রথম সেডে বিক্রয় হতো মাছ ও মাংস,পৃথকভাবে ক্রেতারা ক্রয় করতেন, দ্বিতীয়  সেডে বসে কাঁচা তরিতরকারি।পুরাতন  কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। সেখানে দেখা যায় মাত্র চার জন ব্যবসায়ী সেডটি দখল করে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছেন। বাকি কাঁচা তরিতরকারি ব্যবসায়ীরা সিও অফিস বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে ও মহাসড়কের উপরে বসে ব্যবসা করছেন।তৃতীয় সেড দুই/একটি দোকান ব্যতীত বাকি জায়গায় ভ্যানগাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। চতুর্থ সেডটি গরুর খাবারের পোয়াল খর দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। দুটি সেডে এর দু‍‍`পাশে খড়ি ব্যবসায়ীরা তাদের খড়িগুলো রেখেছে। এইভাবে মুখ থুবড়ে বসেছে পুরান বাজারটি। এই পুরাতন বাজারটি শুধু দেখা যায় পহেলা অগ্রহায়নে এই দিনে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে একদিনের জন্য সকল ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন।

দুপচাঁচিয়া পুরাতন বাজারের বসবাসরত বাসিন্দা ভুট্টু সরকার, বক্কর শেখ, মোস্তফা সরদারসহ অনেকই জানায়, এই ঐতিহ্যবাহী পুরাতন কাঁচা বাজারে কিছু না পেয়ে খুব কষ্টে তারা ছুঁটে চলে যান সিও অফিস কাঁচা বাজারের বাজার করতে। বিশেষ করে দেখা যায় পুরাতন বাজারের প্রথম সেডটিতে মাংস ও মাছ বাজার লাগতো সেই সেডটি এখন ইলিশ মাছের আড়ৎতের একজন ব্যবসায়ী সারাক্ষন দখল করে নিয়ে রেখেছেন। প্রশাসনের দেখার কেউ নেই। পৌরসভা থেকে ইজারা দেওয়ার পর শুধু ইজারাদারের কর্মচারী কাঁচা বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে খাজনা উত্তোলন করেন।

এরপর মাছ বাজারের সেড থেকে উঠে এসে দু‍‍`একজন মাছ ব্যবসায়ী রাস্তার উপরে মাছ বাজার নিয়ে বসে আছে। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচলের বিঘ্ন সহ অনেক বাঁধার মুখে পরতে হয়। কাঁচা বাজারের রাস্তার দু‍‍`পাশ দিয়ে চায়ের স্টল ও ফলের দোকান বসিয়ে রাস্তার চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। যার কারণে রাস্তাটি সবসময় যানজট লেগেই থাকে। ৫০/ ৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই পুরাতন বাজারটি সকল এলাকার ক্রেতারা বাজার করতে আসতো। কিন্তু ধীরে ধীরে এই বাজারের আয়তন ও সীমারেখা কমে এসেছে দখলবাজদের অত্যাচারে।

পুরাতন বাজারের নাগরিকেরা জানান, পৌরসভার কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাজারটির দিকে মনিটরিং করলে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে যাতে পূর্বের মত করে বিভিন্ন দ্রব্য বা পণ্য সুন্দরভাবে ক্রেতারা কিনতে পারে সে জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করেন।

এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথির সঙ্গে কথা বললে তিনি মুঠোফোনে জানায়,সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!