ঢাকা শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

সন্ধ্যা নদী দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ, অপসারণের দাবি

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম

সন্ধ্যা নদী দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ, অপসারণের দাবি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পয়সারহাটে এক সময়ের খরস্রোত সন্ধ্যা নদী দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এতে সৌন্দর্য্য হারানোর পাশাপাশি হারিয়েছে খরস্রোত ও নাব্যতা। নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়ে গত ১০ বছর ঢাকা-পয়সারহাট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সন্ধ্যা নদীর দু-পাড়ের বিভিন্ন স্থান দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করে আসছেন প্রভাবশালীরা। প্রশাসন মাঝে-মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ওই ভবনের কাজ শেষ করছে তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের নদীর পশ্চিমপাড় বাজারের খেয়া ঘাটে আট বছর পূর্বে আব্দুল হাই সরদারের কাছ থেকে নদী পাড়ের পাশে কাঠের একটি দোকান ঘর ক্রয় করে স্থানীয় রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী হারুন মিয়া। সম্প্রতি হারুন মিয়া সেই কাঠের ঘড় ভেঙ্গে নদীর কিছু অংশ দখল করে দুই কক্ষের পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন।

পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিদের্শে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রবীন দাশ গুপ্ত সরেজমিন গিয়ে নদীর মধ্যে বাড়তি অংশ ভেঙ্গে দেয় এবং ভবন উত্তোলনকারী হারুন মিয়াকে জায়গার কাগজপত্র নিয়ে ইউএনওর সাথে দেখা করার নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় তৎকালীন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রবীন দাশ গুপ্ত বলেন, ইউএনও ফারিহা তানজিন স্যারের নিদের্শে ওই স্থানে গিয়ে নির্মানাধীন ভবনের বাড়তি অংশ ভেঙ্গে দেই। তখন জায়গার মালিকানা দাবি করে স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুন মিয়া। জায়গার কাগজপত্র নিয়ে ইউএনওর কাছে আসতে বলি।

জানতে চাইলে ভবন উত্তোলনকারী হারুন মিয়া বলেন, আমি আব্দুল হাই সরদারের কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করেছি। তারা কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিল। তাদের কি বলেছে তা আমাকে এখনও জানায়নি। আমি কাজ বন্ধ রেখেছি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম বলেন, নদী দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। দেখার দায়িত্বে রয়েছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিহা তানজিন বলেন, বাগধা নদীর পশ্চিম পাড়ে খেয়া ঘাটে একটি ভবন নির্মাণের সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রবীন দাশ গুপ্তকে পাঠিয়ে ছিলাম। তারা ভবনের বাড়তি অংশ ভেঙ্গে দিয়েছিল। কেউ ওই জায়গার মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে আসছিল কিনা আমার মনে নেই।

আরবি/এইচএম

Link copied!