ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

কিশোরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা আটক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম

কিশোরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা আটক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদাবাজির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোসাব্বির হোসেন সাদ্দামকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ তাকে আদালতে প্রেরণ করে। করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে করিমগঞ্জ অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল নিয়ামতপুর বাজারের মোড়গ মহল এলাকা থেকে তাকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তার মোসাব্বির হোসেন সাদ্দাম উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নে দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমেদের ছেলে এবং জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দলীয় সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের (ভিপি সুমন) ছোট ভাই।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, সাদ্দামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন গত ১১ আগস্ট করিমগঞ্জ চামড়াঘাট থেকে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি বাজার পর্যন্ত নদীপথে নৌকার মালিকদের নিয়ামতপুর বাজারের মোড়গ মহল স’মিল সংলগ্ন আসামিদের অফিসে ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ২২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নৌকার মালিকেরা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাদেরকে হাত, পা বেঁধে মারপিট করে ও প্রাণে মেরে ফেলাসহ নৌকা দিয়ে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে নিয়ামতপুর বাজারের মোড়গ মহল স’মিল সংলগ্ন আসামিদের অফিসে নৌকার মালিক মো. নাঈম, মোতাব্বির হোসেন, সুরজুল ইসলাম, হদিস, রাসেল, হারুণ ও ছোবান তাদের প্রত্যেকের থেকে নগদ ১০ হাজার করে মোট ৭ লাখ টাকা এবং অপর নৌকার মালিক ফালানের কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার চাঁদা নেন। বাকি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আসামিরা তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। বাকি টাকা না দেওয়ায় যাত্রী পরিবহনের নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেন।

এ ঘটনা করিমগঞ্জ থানার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে জানালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে রোববার দুপুর ২টার দিকে আসামি মোসাব্বির হোসেন সাদ্দামকে নিয়ামতপুর বাজারের মোড় থেকে গ্রফতার করে।

মামলার বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, আটকের পর বাজারে উপস্থিত লোকজনের সামনে আসামি মোসাব্বির হোসেন সাদ্দাম চাঁদা দাবির ঘটনা ও চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেন।

 

আরবি/জেডআর

Link copied!