উত্তরায় ট্রাভেল এজেন্সি মালিকের নিকট আত্মীয় পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে ট্রাভেল এজেন্সির মালিক কর্তৃক যুবদল কর্মীর নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মিথ্যা অভিযোগ।
জানা যায়, সৌদি পাঠানোর কথা বলে রাজধানীর উত্তরা এইচ এম প্লাজার এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মাহবুবুর রহমান দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করে ঘুরাচ্ছেন নাটোর জেলার নাজিরপুর গ্রামের দুই জন হতদরিদ্র ব্যাক্তিকে।
জানা যায়, বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রামের অসহায় নিরীহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে মো. সালাম মিয়া উত্তরা পশ্চিম থানায় লিখিত একটি অভিযোগও করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মাহবুবুর রহমান গত ১৭ জুন ২০২৩ থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বাদী সালাম মিয়ার কাছ থেকে সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে নগদ/চেকের মাধ্যমে সর্বমোট নয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে মাহবুব তাকে দুটি ভিসা এবং ২টি টিকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে ১০ দিন পর তাদের ফ্লাইট হবে বলে গ্রামে চলে যেতে বলে। তারা মাহবুবুর রহমানের কথায় সরল মনে বিশ্বাস করে গ্রামে চলে যায়। টিকেটি গায়ে লেখা তারিখে তারা ঢাকা তার অফিসে আসলে মাহবুবুর রহমান তাদেরকে বলে টিকেট কেনসেল হয়ে গেছে। তোমরা মালামাল রেখে গ্রামে চলে যাও। নিরুপায় হয়ে তারা গ্রামে চলে যায়। পরবর্তী সময় মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে সে তার কাছে আরো ২ লাখ টাকা দাবি করে। উক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তারা তাদের টাকা ফেরত চায়।
মাহবুবুর তাকে নগদ টাকা না দিয়ে চালাকি করে তার পার্টনার মান্নানের ডাচ বাংলা ব্যাংকের পাঁচ লক্ষ বিশ হাজার টাকার একটি চেক দেয়। যাহা উঠানোর তারিখ ছিলো গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ । কিন্ত তারা ব্যংক থেকে টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।
বাদীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাহবুবুর রহমান গত ৩ ডিসেম্বর সালাম মিয়া ও যাত্রীর লোকজনকে টাকা দেওয়ার কথা বলে উত্তরা এইচ এম প্লাজা ( লিফটের ১০) এম এইচ এয়ার ইন্টার ন্যাশনাল টুরস এন্ড ট্রাভেলস লি. অফিসে ডেকে এনে ভয় ভীতি দেখিয়ে তার দেওয়া ৫,২০০০০/- টাকার চেক জোর পূর্বক কেঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তারা বিবাদী আদম বেপারী মাহবুবুর রহমানের অফিস থেকে জীবন রক্ষার্থে দৌড়ে পালেয়ে যায়। তারা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তাদের আত্মীয় শাকিলকে জানায়। শাকিল বিষয়টি জানতে মাহবুবুর রহমানের এইচ এম প্লাজা অফিসে আসে। এ সময় শাকিল মাহবুবুর রহমানকে শান্তি পূর্ণ ভাবে বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব পেয়ে মাহবুবুর রহমান তার পার্টনারের সাথে ফোনে কথা বলেন এবং টাকা ফেরতের সময় চান। শাকিল তার পাওনাদার আত্মীয়ের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে সময় নিয়ে বিষয়টি সমাধানে সম্মতি দেন।
এ সময় মাহবুবুর রহমান তাদের পাওনা টাকা ৪৫ দিনে ৩টি কিস্তিতে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ টি চেক হস্তান্তর করেন। এ বিষয়টি শান্তি পূর্ণ ভাবে বিবাদ শেষ করে শাকিল তার লোকজন নিয়ে চলে যায়।
পরে সেই দিনই মাহাবুবুর রহমান যুবদল নেতা শাকিল এর বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক চেক নেয়ার অভিযোগ এনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট একটি অভিযোগ করে। এবং উল্টো শাকিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মাহবুবুর রহমানের মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো অভিযোগের কারণে উত্তরার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :