বগুড়ার শাজাহানপুরে আদালতের নির্দেশে দাফনের প্রায় দীর্ঘ ১১ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে এসে স্বজনদের বাধায় ফিরে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের ঘাসিড়া সুফিপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে নিহত ফোরকান আলীর মরদেহ উত্তোলন করতে আসলে পরিবারের লোকজনের দাবি করেন মৃত ফোরকান আলী দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্থ ছিলো। পূর্ব থেকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় কে বা কারা মামলা করেছে তা জানে না পরিবার।ফোরকানের বাবা মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার ছেলে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। যে মামলাটি হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে মামলা করেছে তাকে চিনি না। শুধু একজন সাক্ষীকে চিনি। তারা তাদের পরিবারের সাথে পরামর্শ না করে মামলা করেছে। যেহেতু মামলাটি মিথ্যা, তাই মরদেহ তুলতে দিব না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাসুদ করিমসহ ফোর্স।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করতে আসলে স্বজনরা জানান তারা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানাবেন এবং আদালতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অবহিত করবেন মর্মে সময় আবেদন করেন। এমন সময় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের সময় আবেদন আমলে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে মাটির মসজিদ এলাকায় বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, ঐ সময় র্যাব ও পুলিশের টহল দল দেখে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছুটে পালিয়ে যায়।
সে সময় মিছিলে থাকা উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফোরকান আলী মটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন, স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু সে সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
-20241128183910.jpg)
-20241128160458.jpg)
-20241128021909.jpeg)
আপনার মতামত লিখুন :