ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ বরিশালের তাইবুরের পরিবার হতাশাগ্রস্থ

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ বরিশালের তাইবুরের পরিবার হতাশাগ্রস্থ

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী তাইবুর রহমান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় পরিবারের সদস্যদের সাথে থেকে তাইবুর রহমান বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করছেন বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে। বাবা মাইনুল খান পেশায় একজন চা ব্যবসায়ী। পরিবারের অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাইবুর রহমানকে তার বাবা ও মা পড়াশুনা করাচ্ছেন। সেই স্বপ্ন এখন হতাশায় পরিনত হয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিতে মাথা ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলিবিদ্ধ হয় তাইবুর। আহত অবস্থায় ওইদিনই তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। আহত তাইবুরের চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের প্রায় ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও এখন পর্যন্ত পাননি চুল পরিমান সহযোগিতা।

জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সতরাজ গ্রামের বাসিন্দা ও নগরীর কাউনিয়া এলাকার ভাড়াটিয়া তাইবুরের বাবা মাইনুল খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তার ছেলের মাথাসহ হাত-পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়। পুরো শরীরজুড়ে রয়েছে ছড়া গুলির ক্ষত-বিক্ষতের চিহ্ন। ধারদেনা করে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আজ তিনি পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পরেছেন। তারপরেও এখন পর্যন্ত ছেলেকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত অধিকাংশ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করলেও আমার বেলায় তা জুটেনি।

আহত তাইবুরের মা তাসলিমা বেগম জানান, তার ছেলের শরীর থেকে উঠানো ছড়া গুলির ছোট ছোট অনেকগুলো কার্তুজ তাদের কাছে রয়েছে। ছেলের সুস্থতা ও ভবিষ্যত উজ্জল হোক এটাই তার অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে চাওয়া।

তিনি আরও বলেন, সংসারে দুই ছেলের মধ্যে তাইবুর বড়। ছোট ছেলে এখনও শিশু। তাদের সংসারে হাল ধরার কেউ নেই। আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পরেছেন। তাই অভাব অনটনের মধ্যে এখন তাদের জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।

আহত তাইবুর রহমান বলেন, জীবনে কিছু পাই বা না পাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। যেহেতু আমিও একজন ছ্ত্রা। তাই ছাত্র সমাজের বাহিরে কখনই যাবার প্রশ্ন ওঠেনা। তবে তার চিকিৎসা ও পরিবারের অভাব দূর করতে অন্তবর্তীকালিন সরকারের উপদেষ্টাগণ এগিয়ে আসবেন বলেও তাইবুর রহমান শতভাগ বিশ্বাস করছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!