বাঁশ কোনো গাছ নয়। এটি মূলত এক ধরণের ঘাস এবং চির সবুজ বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ যা নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায়। পৃথিবীতে ৩০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট ৩৩ প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে-মুলি, তল্লা, জাবা, আইক্কা, ছড়ি, মাখলা, বড়বাঁশাসহ নানা প্রজাতির বাঁশ।
বাঁশ ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ৬নং হুড়কা ইউনিয়নের গোনা`ই ব্রিজ হাটটি বাঁশের হাটের বিখ্যাত হাট বলে পরিচিত লাভ করেছে। এটি বাঁশের জন্য বিখ্যাত হাট বলা হয় জানতে চাইলে, বাঁশ কিনতে আশা, রবিউল ইসলাম ভুট্ট, ইয়াসিন আলী, জমসের আলী, মোজাম্মেল হক, জহুরুল ইসলাম, মোজাহারুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, আশেপাশের যে কয়টি হাট আছে, সেসব হাটের তুলনায় এখানে উল্লেখযোগ্যহারে বাঁশ বেশি বের হয়। ছোট ছোট পাইকারগণ গ্রামে বাঁশ কিনে হাটে নিয়ে এসে বড় পাইকারগণের নিকট বিক্রি করেন।
৯০’ এর দশকে গ্রামের গৃহস্থগণ বাড়ি ঘরের খুঁটি, ঘরের ছাদ এবং বাজার সাদি ও কৃষক কৃষাণীর দিন মজুরি পরিশোধের জন্য বাঁশ বাজারে বিক্রি করে তা পরিশোধ করত। যার কারণে গ্রামের অনেকে বাঁশের উপর নির্ভর করত: বর্তমানে যদিও এর চিত্র ভিন্ন, তারপরও বাঁশের কদর কমেনি। ঘরের ছাদসহ গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে বাঁশের আসবাবপত্র নিত্যদিনের সাথী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাঁশ বিক্রেতা হালিম শেখ বলেন, এ বাঁশের হাটে সব ধরেনের ছোট বড়, তল্লা, বাসনি, যাবা, বাঁশসহ মাচালি, খুটি, কঞ্চি পাওয়া যায়। বড় বাঁশ ৪০০ টাকা করে আর ছোট বাঁশ ২৫০ টাকা করে বিক্রয় করি, আমাদের এ হাটে সপ্তাহে ২দিন হাট বসে, বিনা হাটেও বাঁশ বিক্রয় করে থাকি।
আরেক বিক্রেতা বলেন, বাঁশ অনেক রকমের হয়, বড় বাঁশের তুলনায় ছোট বাঁশের চাহিদা একটু বেশি তবে ছোট বাঁশে খরচও একটু বেশি এ কারণে ব্যাবসা ভাল না।
বাশঁ হাটের সভাপতি, বাবু শিখর তরফদার বলেন, প্রতি সোমবার ও শুক্রবার এখানে হাটে বসে, মোংলা, দিগরাজ, সহ দক্ষিণ অঞ্চলের অস্থায়ী ঘর, বাসা, দোকান, বেড়িবাঁধ তৈরির জন্য প্রচুর বাঁশ কেনাবেচা হয় এ বাঁশ বাজারে।
আপনার মতামত লিখুন :